অডাসিটি অফ হোপ
গাছে কাঁডল, মোচে তেল
লাছা লাগা গোঁপ।।
ইলেক্শন ২০১৭
ওবামা:
কিরে আজিজ বারবার রিকোয়েস্ট করলাম কিছু চাঁন্দার জন্য? নো রিপ্লাই ভাই।
হিসাব আপ টু ডেট করে নিও।
আজিজ রেজাকার:
তুমি তো এবার কেন্ডিডেট না।আর চন্দের হাটের আজিজকে তুমি জানো, এক কথার সাপোর্টার । তোমার ফিলিস্তিন আর "আসাদ হেভ টু গো" দুই কথা দুই হয়ে গেছে।তাই দান খয়ররাত করতে এখন হাত কাঁপে।অডাসিটি অব হোপ' নিয়ে মুখ বুজে আছি বাহে।
ওবামা :
বারেক শুনো আমার কথা।সেন্ডার এর দলে যাইওনা কিন্তু ।আমছালা দুইই যাবে।
হালায় টাম্লার Xডাম্বলার সেন্ডার কে কমিনিস্ট বোলায়।
তুমি তো জানে ঐ হেইটলারের ছাওটা জিতলে রাষ্টপতিগিরিও যাবে। ওবামার কেয়্যার টেকারও কাপুট হবে।
আজিজ রেজাকার :
হ্যাঁ ভাই বুঝেছি। নিরপেক্ষ থাকতে দিবেনা। ক্রেজি বেবী ডাকবে।
নো হেইটলার নো । নো ডাম্বো নো।।
জিয়াউর রহমান থাকলে এবার না ভোট দিতাম।
হ্যালো!
ওবামা:
স্পিকিং। "কোচ ভাই বেরাদার জিতলে তোঁয়ারে ঘুষটুস দিয়া চলন লাইগবো ন।আর ডাম্বলারের পোয়া অইলে আস্ত বরবাদ, আঁরে আবার ইন্দুনেশিয়ায় চালান দিবো।করার আগে কাম চিন্তা গইরো বদ্দা।
আজিজ রেজাকার:
আঁই জাইনমতাম তুঁই হাবাইয়্যান। অন দেই দে বদ্দাও বদ্দারহাটের।চিটাং টু কুয়ালামপুর আর কদ্দুর।
Monday, April 11, 2016
Sunday, July 12, 2015
।।আজিজ রেজাকার ।।Aziz Rejakar ।।
আমার কবিতার কালরাত কাব্যগ্রন্থ
আমার কবিতার কালরাত
#১
আমার কবিতার কালরাত
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
শুভ নব বর্ষে তোমাকে অভিনন্দন
'বিরহী বাংলার বিদ্রোহী আত্মা,
লাখো জনতার বিদেহী আত্মা'।
শকুনের দল আজ করেছে দখল
আমার রক্তাক্ত জাতির পতাকা
মুক্তিযোদ্ধারা আজ পলাতক দিশেহারা
এ কেমন পরাজয় তবে জাতীয় বীরের
এক সাগর রক্তের স্বাধীনতা।
গর্জে ঊঠো ভয়ানক আর্তনাদে শীংগার রোলে
মূছে ফেলো যাবতীয় হায়েনার দল
তোমার বূক থেকে
আমার নবযৌবোনা স্বাধীনতা।
#২
রক্তাক্ত বাংলার বুক
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
মার্চ২০০৯
নিউ ইয়র্ক
জাতির পিতার রক্তে আজো ভিজে আছে বাংলার বুক
হায়েনার দল আবার আঘাত হেনেচে
শকুনের দল আবার মাঠে নেমেচে
ধংস্বলীলা চালালো পিলখানায়,রক্তাক্ত বাংলার মুখ
ভাইয়ের জীবন কেড়ে নিলো,বোনের রক্তে আকাশ লাল আবার
সারা দেশ জুড়ে শোকের মাতম,এক সকরুন হাহাকার !
আর্তনাদ কান্না চীত্কার ,বাতাশে লাশের গন্ধ শুন্যতায় নীল
ছদ্দবেশি বাংলাদেশি,বাংলার শত্রু আজীবন নব্য দালাল
কেড়ে নিলো জাতির অর্জন অতন্ত্র প্রহরি ,নিরপরাধ সেনাবাহিনি ।
একে দিলো কালিমা ললাটে তোমার,আমার প্রিও জন্মভূমি মা জননী
ক্ষমা নাই ঘাতক তোমার, নিশ্পাপ আত্মার চীৎকার কানে বাজে
পতিত শহীদেরা বেচে রবে আমাদের হৃদয়ের মাঝে।
#৩
~স্বাধীনতা শহীদের রক্তের পবিত্র আমানত~
স্বাধীনতা শহীদের রক্তের পবিত্র আমানত
(নূরীকে উৎসর্গ)
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
আর কোন মুক্তিযোদ্বার মেয়েকে বিক্রয় নয়
কোন নিষিদ্ধ পাল্লায়
মুক্তিযোদ্ধার বিচার করে স্বাধীন দেশে
স্বাধীনতার শত্রু নব্য রাজাকার
আমার রক্ত ভেজা মাটিতে এ কেমন বিচার?
দেশ মাটি, দেশ মা, নির্যাতিত নারী,
আর কোন নারীর মুখ এসিড়ে দগ্ধ নয়
বুকের জ্বালা কঠিন জ্বালা,
আর রাজাকার দেয় কঠিন জন্মের শিক্ষা,
স্বাধীনতা শহীদের রক্তের অক্ষরে লিখা।
#৪
নব্য দালাল
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজের কবিতা
দূ্র্নীতির চরম শিখরে নব্য দালাল
আল্লাহ নাই
বিল্লাহ নাই
নাই যেনো
ইহকাল পরকাল ।
সন্ত্রাস জাতির অস্থি মজ্জায়
‘রাস্ট্রীয় সন্ত্রাস’
দালালের আলখেল্লায়।
পরাজিত তবে আজ
সবুজ বাংলা
সোনার বাংলা
রুপসী বাংলার সাজ।
#৫
বোকার ফসল পোকায় খায়
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজের কবিতা
নরাধম পিশাচ করেছে দখল
শরীরটা তার,
যাতনার ক্ষোভানলে পুডে মরে
তার অন্তর।
কবিতার শব্দগুলি কেদে মরে
তাই নারীর কোমল হৃদয়ে,
ভালবাসার বিরাট অভাব
দুঃক্ষের এই সংসারে।
#৬
উন্নাসিক পিনাক
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
সব হালায় নব্য দালাল
বেচে দেশের পানি চৈত মাসে করিয়া উলাল
হর্তাকর্তার দিন শেষ
আসুন গড়ি নতুন দেশ
ধ্বজভংগ নেতাদেরকে হটান তবে
গড়ি আমরা সোনার বাংলাদেশ
স্বাধীন দেশে পরাধীনতার নাগপাশ
ছিন্নভিন্ন করবো এবার
দালালেরই সর্বনাশ
ঈমান রাখো শক্ত তবে
বিপদ শিয়াল হয়ে জঙ্গলে পলাবে।
#৭
শ্রাবনের বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
৮/৪/০৯
আমনের আবাদ,গ্রামীন জনপদে প্রচন্ড ব্যস্ততা,
দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ,
যেখানে পানি সেখানে আমনের আবাদ,
প্রচন্ড খরায় আউশ আর আমন খরাক্লিষ্ট কৃষক,
হেক্টর হেক্টর জমিনের আমনের বিপর্যয় শোক,
মাঝ শ্রাবনের নগন্য বৃষ্টি বরেন্দ্রের বিস্তির্ন ভূমিতে,
ভূমি অঞ্চলে জমি ভেজার সাথে সাথে কৃষকের লাঙ্গল নামে,
বরেন্দ্রের নাগালের বাহিরের জমিনের মালিকের আহাজারি,
আকাশ পানে রহমতের বর্ষনের আশায় কাঁদে,
আকাশে কালো মেঘের আনাঘোনায় আশায় বুক বাঁধে,
একটু দেরিতে সব সর্বনাশ,
বৃষ্টি নির্ভর আমন ফসল একরাশ।
নাচোলের বৈদ্যপুরের কৃষক আজিজের প্রার্থনা
'বর্ষার রুক্ষতা তুলে নাও প্রভূ করো করুনা
আমাদের গোনাহের কারনে আমাদের তুমি
তোমার রহমত থেকে বঞ্ছিত করোনা'।
ফারাক্কার বিরূপ প্রভাবে
পদ্মার মূল নদী মরে গেছে,
বৃষ্টির আকাল আজ,
তানোরের খানপুরে
সবুর মিয়ার গরু ছাগল চরে,
আউশ আর আমনের চাষে বিলম্ব আজ
বিলম্ব চাষাবাদ,সেচনালীর প্রচন্ড অভাব,
আমনুরার মেঘ ঘনকালো,
গোদাগাড়ি বৃষ্টিহীন,
মাঠে কৃষান-কৃষানীর ব্যস্ততা অতীব বিরামহীন।
#৮
পাঠ করো
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
৭/৩১/০৯
তুমি আজ পাঠ করো তোমার নিজের কিতাব
জান্নাত নাকি জাহান্নাম করো তার হিসাব।
পাঠ করো তোমার প্রভুর নামে
জ্ঞ্যানের আকাশ তখন খুলে যাবে।
শুক্কুরে শুক্কুরে আট
দিনে দিনে বাড়ে মানুষের পাপ।
মাথা নত করো তোমার রবের দরবারে
আখেরাতে আঁধারের যবনিকা পাত হবে।
মানুষ প্রকৃ্তির শ্রেষ্ঠ সন্তান
অতএব করি আজ মোরা বিধাতার গুনগান।
#৯
লাল সবুজ
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
আমার আছে জল,
নয়নের গহীন তল,
উথাল পাথাল করে টলমল,
নিঃশ্বাসে আর বিশ্বাসে
লাল সবুজের দল,
বাংলার আঁচল।
আমি কতদিন উড়িয়েছি
লাল সবুজ পতাকা,
আমার ছোট্ট ছেলে বেলা
আমার পড়ালেখা।
৮/৬/২০০৯
#১০
আজিজ রেজাকারের মশা
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
নুরীর বরাতে মশার কামড়,
রক্তচোষার শুলের ভয়,
হৃদয়ে ধরপর ধরপর,
আহা কি যে বিষধর প্রাণী
খায় নূরীর লালপানি,
বড়ই ইতর জীব বাংলার মশা,
রাতের বেলা বাড়ে উৎপাত
আর খেলতামাসা।
রক্তচোষা মশার দল
কামড় মারে চিরকাল,
করে আমার লাল
চামড়া জমকালো।
#১১
~নতুন এক সংসার~
~নতুন এক সংসার~
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
৮/১/০৯
হলুদের টিয়া রঙ গায়ে মেখে নব বধু সাজে,
দুরু দুরু কাঁপে বুক,মুখ লাল অজানা এক লাজে।
জোৎস্নার ধবল চাঁদ উঁকি দেয় জীবনের আঙ্ঘিনায়,
নতুন এক পথ চলা শুরু আজ ভরা পূর্ণিমায়।
মায়ের ভাংগা মন,বাবার বুক ভরা কান্না,
ভাই আর বোনের অশ্রুর বন্যা,
সাক্ষী থাকে চিরকাল।
বিদায়ের বারতা বড়ই ব্যথাময়,
আশীর্বাদগুলি আনে নির্ভয়,
দপদপে ভবিষ্যৎ রাঙ্গা লাল।
পরম সংসার রচনা করে আমার আপনজন,
বিধাতার করুণা বারি হয়ে বয়ে সারাটি জীবন।
#১২
হৃদয়ের বন্যা
~মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
~আকাশের ঐ কান্না সেতো
আমারি হৃদয়ের বন্যা
~আর কতকাল কাঁদাবে আমায়
ওগো পরানেরি অনন্যা
#১৩
আমার কপালের লেখা
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজের কবিতাগুচ্ছ
#
আমি প্ল্যানিং মিনিস্টার
আজিজ রেজাকার
আরেকটা যুদ্ধ প্ল্যান আমার
আমি এবার পাবো পগার পার।
#
রুম্মান রশিদ খান
বিনোদন প্ল্যানিং মিনিস্টার
নায়কের হাতে দিতে হবে প্রেমপত্র একখান
নায়িকার অবশেষে বিষপান
নায়কের জীবন এক নিথর গোরস্থান।
#
বাংলার আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র
দেদিপ্যমান
জন্মদিনে গাই মোরা তোমার গুনগান
'জন্মেছি তোমার বুকে,গর্বে কাঁপে প্রান।'
বাংলা মায়ের কৃ্তি সন্তান রুম্মান রশিদ খান।
#
বাকির নাম ফাঁকি
আজ নগদ কাল বাকি
ঢাকায় বুঝি টাকা ঊড়ে
চোরা মিয়ায় দালান তোলে
স্বাধীন দেশে পরাধীন আমি
কত বোকা আমি
বোকা+আমি~ বোকামি।
#
শূভ জন্মদিনে গাই
জীবনেরই গান
বিধাতার বিধান
মানুষ তবে শ্রেষ্ঠ সন্তান।
#
জমিন এবার মুখ তুল্লো,
জানিনা আবেগহীন মানুষগুলো বাঁচে কেমন করে।
#
রাত গভীর,কালো রেখা
ঘুমের ঘোরে মগ্ন সবে।
আমি একাকি ,ভীষন একা।
আবার হবে কী দেখা ?
আমার মানব জমিন
জানো নাকি তুমি আমার কপালের লেখা।
#
আমার জমিনে আমারই রক্ত ঝরায়
আমারই আপন ভাই
ঊপল সুপথে ফিরে আয়,
আমার ক্ষতবিক্ষত বাংলায়
কুখ্যাত কিম্বা প্রক্ষ্যাত মাতবর
করে মোদের আবার যাযাবর
ঘুঘু চরায় আমার ভিটায়।
#১৪
পুরুষ তবে পাহাড় সমান
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
০৬/০৫/১৯৯৭
যখন অমাবশ্যার গাঢ় কালো তিথি
বিলিয়ে দেয় গূঢ় অন্ধকার জনপদে।
বাংলার জনপদে হেঁটেন যান,একা একা
জনাব শামসুর রাহমান।
অলৌকিক পাহাড় সমান
আলোকের ঝলকানি
বয়ে যায় হৃদয়ে আমার,
স্বপ্নিল বিভোরে মগ্ন থাকে কে বলো,
যখন কম্পমান জমিন আর সাত আসমান।
#১৫
লাশ
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
মানুষ আজ জীবন্ত লাশ
ভীবিষিকার কালো রাতে করে বসবাস
হৃদয়ে শুধু গ্লানির দ্বীর্ঘশ্বাস
বিধাতার নিষ্ঠুর পরিহাস।
#১৬
ভূপেনের গান
~বিমূর্ত এই রাত্রি আমার~
কন্ঠে ~ নাসরিন সানী
বিমূর্ত এই রাত্রি আমার মৌনতার সুতোয় বোনা একটি রঙ্গিন চাদর
সেই চাদরের ভাঁজে ভাঁজে নিঃশ্বাসেরই ছোঁয়া, আছে ভালোবাসা
আদর।
কামনার গোলাপ রাঙ্গা একটি রাত্রিতে
নীরব মনের বর্ষা আনে শ্রাবন ভাদর
সেই বরষায় ঝরঝরে নিঃশ্বাসেরই ছোঁয়ায়,আছে ভালোবাসা আদর।
ঝরে পডে ফুলের মত মিষ্টি পাতার কঁটি ধরে ঝরায় আদর,
যেন ঝরায় আদর
পরিধিবিহীন শঙ্কা মুখের মন,আঁধার কম্পন ও কাতর।
নিয়ম ভাঙ্গার নিয়মে যে থাকনা বাধার পাথর
কোমল আঘাত প্রতি আঘাত রাত্রি নিথর কাতর।
দূরের আর্তনাদের নদীর ক্রন্দন কোন বাঁকের
বক্ষেতে পেয়েছি আমি আলিঙ্গনের সাগর
সেই সাগরের স্রোতে আছে নিঃশ্বাসের ছোঁয়া
আছে ভালোবাসা আদর।
#১৭
আমার মায়ের মুখ
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
নিউ ইয়র্ক,২০০৯
আমি কতদিন দেখিনা মায়ের মুখ
তাই দুঃক্ষে ভাংগে আমার বুক।
ছোট্ট বেলা পাঠশালাতে যাবার বেলা
খাইয়ে দিতো নিজ হাতে মা গরম ভাতের নেলা
ভর দুপুরে খাঁ খাঁ রোদে পূড়ে যখন অংগ কালা
পানখার বাতাস দিয়ে যে মা নিভায় রোদের জ্বালা।
আমি কতদিন দেখিনা মায়ের মুখ
তাই দুঃক্ষে ভাংগে আমার বুক।
অসূখ বিসুখ হইলে পরে,মায়ের অন্তর কাইন্দা মরে
হাত তুলিয়া দোয়া করে আল্লাহতালার দরবারে
না ঘুমাইয়া মা বসে থাকতো বাচার শিয়রে
আমার মাকে বড় মনে পড়ে,আমার অন্তরে।
আমি কতদিন দেখিনা মায়ের মুখ
তাই দুঃক্ষে ভাংগে আমার বুক।
মায়ের বেদনার জ্বালা, এক যে বোঝেন আল্লাহতালা
বেহেস্তেতে দাওগো স্তান,ওগো মেহেরবান,
আমার অন্তর কাঁদি মরে,আমার মায়ের তরে।
আমি কতদিন দেখিনা মায়ের মুখ
তাই দুঃক্ষে ভাংগে আমার বুক।
মায়ের কলিজার ধন ,আমি মানিক রতন,
পারিনি করিতে যতন,তাই ভাংগে আমার মন।
#১৮
~বাংলার বীর~
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
বাংলা মায়ের দামাল
ছেলে তামিম ইকবাল
অর্ধশত করে রান
জুড়ায় আমাদের পরান।
শত রানে এগিয়ে চলে আশরাফুল,
জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে করেনা কোন ভূল,
মারে বার বাউন্ডারি
গোটা দুই চক্কা,
আফ্রিকার কালামানিক
পায় ক্রিজে অক্কা।
#১৯
মিরুর চোখ উৎপাটন
সালিশ
ভদ্রাসন চৌরাস্তা
ভদ্রাসন গ্রাম,তুজারপুর ,ভাঙ্গা, ফরিদপুর।
রায়ের সহোযোগিতায়~
সমাজপতি বশির হাওলাদার,ইউনুচ হাওলাদার,সিদ্দিক বেপারী,জাহাঙ্গীর শরিফ এবং খবির মাতবর
প্রত্ত্যক্ষদর্শী~ তরিকুল ইসলাম
আবু মেম্বার~
মাতবর সাব মিরু বেপারী আমার মোবাইল ফোনসেট চুরি করেছে, আমি বিচার চাই।
মিরু বেপারী~
মাতবর আমি চুরি করি নাই,আমি বেপারী বংশের দরিদ্র বাপের ছেলে।
গ্রামবাসীর সালিশ~
হাজার লোকের চিৎকার
মিরু চুরি করেছে,ওরে শাস্তি দিন।
সাজিদ মাতবর~
গ্রামের মাতবরেরা মিরুকে চোর সাব্যস্ত করেছে,
তাই আমি মিরুর দুই চোখ তুলে ফেলার আদেশ দিচ্ছি।
মিরুর বাপকে ৩০,০০০ টাকা জরিমানা করছি।
সুলতান এবং ছোরমান বেপারী এই আদেশ কার্যকর করবে।
সূলতান বেপারী~
মাতবর সাব আমার মিরু চোর নয়,নাবালগ ১৫ বছর মাত্র,
এটা সাজানো বিচার,এ বিচার আমি মানিনা।
কুক্ষ্যাত মাতবর আজ গডফাদার থেকে গড সেজে বসেছে।
আল্লাহ তুমি এই নরপশুদের বিচার কর।মাবুদ তোমার গজব আর আজাব নাজিল কর।
সাজিদ মাতবর~
"তোর ছেলের চোখ তুই উঠাবি সুলতান বেপারী,
নইলে চার চোখ একসাথে উৎপাটন করবো আমি।"
তোমরা মিরুকে শিকল দিয়ে গাছের সংগে বাধোঁ।
আমি জিবনেও আর ওরে দুনিয়ার আলো দেখতে দিমুনা।
কুত্তার মতো মারপিট কর।
সূলতান আর ছোরমান তোমরা বাপ চাচা মিলে এই দুইটা গাছের ডাল দিয়া চোখ তুলে ফেলো ।
সূলতান বেপারী~
আমি হেরে গেলাম মিরু,আমার কলিজার ধনের চোখ আমি তুললাম।
গাছের ডাল ডুকিয়ে দিলাম।
''আমি সেই দুর্ভাগা পিতা,যে নিজের হাতে ছেলের চোখ উঠাতে বাধ্য হয়েছি।''
সুলতান বেপারীর চোখ দিয়ে অনবরত জল ঝরতে থাকে।ঝরতে থাকে।
#২০
আমার পিতার লাশ
আগষ্টের কালোরাতের ধ্বংসযজ্ঞ
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
১১ ই আগষ্ট,২০০৯,নিউ ইয়র্ক
আগষ্টের কালোরাতের ধ্বংসযজ্ঞ!
ঘাতকেরা কেড়ে নিলো নিষ্ঠুর হাতে
জাতির সমস্ত অর্জন।
বাংলার আঁচল আবার রাঙ্গা লাল
বাংলার বুকে হায়েনারা নাচে
ছদ্মবেশী নব্য দালাল বেশে,
রক্তমাখা হাতে করে উলাল।
আগষ্টের অকাল মৃত্যুর ধ্বংসযজ্ঞ!
জনকের পতিত লাশ,
রাজনীতিজীবির দুর্নীতিবাজ
বাংলার আকাশে কালমেঘের উদয়
রক্তক্ষয়ী স্রোতে আবার ভিজে হৃদয়,
কাঁদে নিয়ে হাঁটি
পতিত পিতার মরদেহ।
ঘাতকেরা উড়ায় জাতির পতাকা
রক্তাক্ত বীরের বুকের পর
পিতার রক্তে লাল করে আবার বাংলার আঁচল
শহীদেরা স্তব্দতায় ডুবে,
করুনার পাত্র যেন এক অসহায় লাশ,
ধান্দাবাজ কাপুরুষ কেড়ে নেয়
জাতির কালপুরুষের শেষ নিঃশ্বাস।
পিতা ছিলেন এক প্রানপুরুষ
মায়ের সবুজ আঁচলে লিখেন লাল কালির আলোতে
স্বাধীনতা,স্বাধীনতা।
চিত্রকর আঁকে মানচিত্র বিশ্ব মানচিত্রে
পটভুমি মাটি আর মানুষ।
শিশিরে ভেজা ভোরের স্নিগ্ধতায় ভরা বাংলার বুক
প্রেমপ্রীতি সম্প্রীতির নতুন তিথি
বেলা অবেলায় গেয়ে উঠি যেন সাম্যের নীতি।
'স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশ
শরীরের রন্ধ্রের গান,
বুকের তাজা রক্ত দিয়ে আঁকবো মায়ের নাম'।
দালালেরা উলাল করে আজ মজিবরের বাংলায়
দাতালেরা মরন কামড় মারে মানসী প্রতিমায়।
দেশ বেঁচিয়া খেতে চায় যাবতীয় বেশ্যায়
পিতার রক্তমাখা স্বপ্নগুলি ধুলিতে মিলায়।
আহারে কুক্ষ্যাত তালুকদার!
ছন্নছাড়া করলো আমার পরিবার,
আজ ভাইয়ের বুকে চুরি চালায় মায়ের পেটের ভাই,
নববধূ লাশ হয় স্বামীর হাতে,
তালুকদারেরা ভাল্লুকের মত থাবা মারে,
আবার আমার বাংলার বুকে
আমি কি করে আজ থাকি সুখে?
#২১
আমার কবিতার কালরাত
বানভাসী মানুষের আর্তনাদ
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
দক্ষিনের নিদারুন খরা আর উত্তরের উজান
যায় যায় আজ নিরীহের পরান
উজানের প্রচন্ড ঢলে তিস্তার বন্যার জলে লন্ডভন্ড ঘরবাড়ি
চরখড়িবাড়ির সাওতাল পাড়া ,ডুবে আছে বন্যার তোড়ে,
পানিবন্দী মানুষ আজ ,এক দুর্বিষহ জীবন-যাপন।
ছোটখাতা গ্রামের হাজেরা খাতুন
ঘরের চাটি বেড়া নষ্ট,
বাচ্চাকাচ্চা আর গরু ছাগল নিয়ে,
করে বেড়িবাঁধে রাত যাপন,
কলাগাছের ভেলায়,কয় লালমনিরহাটের মোল্লায়-
"কাইল হঠাৎ করি বন্যাটা আসি হামার বাড়িঘরত পানি উঠিলো,
রোয়াগুলি ডুবি গেলো। এলাহামার কি হইবে জানে আল্লায়,
রান্না করিব জায়গা নাই,রাত থাকি না খায়য়া আছি,
হামারা বানভাসী।''
উত্তরাঞ্চল খুব নিম্নাঞ্চল ,ভারিবর্ষন আনে প্রবল প্লাবন
টানা ভারিবর্ষন,
উজানের পাহাড়ী ঢল
ঠাকুরগাঁও পঞ্চগড় নদীর পানিতে টলমল
অবিরাম ভারিবর্ষনে কুল ছুঁইছুঁই ,নদীকুল নেতিয়ে পড়ে
চারিদিকে তীব্র ভাংগন। নিষ্ঠুর লাগাতার বর্ষন।
বগুড়া,শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে জলাবদ্ধতা
প্লাবনের ক্রুদ্ধতা,ভাংগে যাবতীয় পুন্যতার স্তব্দতা।
প্লাবিত আত্রাই,মান্দা,জমুনেশ্বরী,চিকলী,চৌহালী
প্রবল বর্ষনে হু হু করে মহাদেবপুর , বদরগঞ্জ রংগপুরের।
উজানের প্লাবনে টাঙন নদীর ভাঙন,করতোয়া,শুক,পূণর্ভবা,চাওয়াই,
তালমা ,কুরুম,ভুল্লি,রাশিয়া,নাহনা,নাগয়া,পাটকী,গাবুরা,বনাচন্ডী
শিনুয়া,লাছি,নাখাল,আমল-ধামল,তিরনই,
ব্যাংরাং,গাওক ভেরসা,কুলিক, আর নাগনদী
অজস্র নিরীহ মানুষ থৈথৈ পানিবন্দী।
ভাসিয়ে নিলো আমন,পুকুরের মাছ,গাছ ,পশু,ভেঙ্গেছে কাঁচাবাড়ি,
বন্যার্তের অর্ধাহার আর অনাহার ,পেটের ক্ষুধায় কাঁপে হাড়্ড়ি।
আমার কবিতার কালরাত ১
#২২
আমার কবিতার কালোরাত
ধাপ্পাবাজের থাপ্পর
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
আমরা এখন ধান ভানতে শিবের গীত গাই,
জলবায়ুর পরিবর্তনে পল্টনে মশাল মিছিল লাগাই,
সকল পোয়াতিকে লাউ দিয়ে বাচ্চা মুরগীর ঝোল খাওয়াই।
ইসবগুলের ভুসি খাইয়া কলিজা জুড়াই,
লুটপাট করে পাহাড়ের সম্পদ গড়ি।
ধরমের ষাঁড়ের মত ধর্মশালায় বসে ধেনো মদ খাই।
ধাপ্পাবাজ ঘাতকের দোসর সেজে রাষ্ট্রযন্ত্র চালাই।
‘বিশ্বে খাদ্য সঙ্কটের আওয়াজ’,’শতাব্দীর দীর্ঘ খরায় কাবু ধরাতল’,
‘বুদ্ধির গোড়ায় ধোঁয়া দিয়ে’,’দারিদ্রের মুলশিকড় উৎপাটনে ব্রত’
আমরা সবাই রত।
‘নাড়ির টানে শিকড়ে পানি ঢালি’ আর শিকড় কাটি চোখে ধুলি দিয়ে।
ধোপা-নাপিত বন্ধে বড় একরোখা আমরা।
অথচ ‘ক্ষুধা-দারিদ্র-বৈষম্য-বঞ্চনা মুক্ত’ ধুলিশয্যা গড়তে একপা খাড়া,
ফাঁসির রজ্জু গলায় ঝুলিয়ে
‘জাতির জনকের হত্যাকান্ড অপরিহার্য ছিলো’ বলে এখনো
ধানাই-পানাইয়ের ধকল চালাই অবরে সবরে,
বিকারগ্রস্থ রসু খাঁর দলে নাম লিখাই ধাপধাড়া গোবিন্দপুর যাবো বলে,
হয় ধারে কাটবো নয় ভারে কাটবো ধানগাছের তক্তা,
কথার ধোকড় ধনদাস আমরা ধামালি বাজাই অবনিতলে,
ধুরন্ধরের দল চারিধারে,আর ধোড়িবাজিতে সয়লাব,
ধারা সম্পাত আজ ধ্বানতারির নক্ষত্রপাতে।
নিউ ইয়র্ক,২১শে অক্টোবর,২০০৯।
#২৩
আমার কবিতার কালোরাত
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
ফেরেব্বাজের ফুসমন্তর এবং ভেখধারী পুতলের নাচ
বউকাটকি বউদির জীবন ভীষন্ন করে তোলে,
বিষ কাটালির বিষে প্রাণ যে বাঁচেনা আর,
বিষকন্যা বুকের রক্ত চুষিয়া খায়।
মাটি করে সোনার স্বপ্ন কেড়ে নেয় প্রাণের প্রাণ,
গায়ে পড়িয়া কোন্দল চালায়।
আচারভ্রষ্টের অনাচারে ঠোঁটকাটারা পেছনের দরজা দিয়ে পালায়,
টাকা খায় টাকা মারে যতোসব ঘুনে পোকায়,
টাকার কুমির ইমারত গড়ে আবার ঢাকায়।
কিল খেয়ে কিল চুরি করে
অনবরত নিরীহ আবাল-বৃদ্ধ -বণিতার জনতায়,
গোকুলের ষাঁড়েরা আজ পাথরে পাঁচ কিল মারে,
পাড়াকুদুলিরা পূণ্য ক্ষয় করে অহরহ,
সুখ নাই এখন আর সংসারে।
#২৪
কৈতববাজের রাজনীতি
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
নিউ ইয়র্ক, অক্টোবর ৮,২০০৯
বাজারে এখন কাক আর কোকিলের সমান দর
সবাই কাজের বেলায় কাজী
আবার কাজ ফুরালে পাজী,
কাজেও নাই কামেও নাই যতোসব কৈতববাজি।
কাটখোট্টার কবলে আমার মানব জমিন তাই।
কাটগোঁড়ার কায়েম করে ত্রাসের রাজত্তি,
কাটাগায়ে নুনের ছিটা মারে যাবতীয় কৈতবধারী।
কানা-খোঁড়ার এক গুন,
কানা গরু ভিন্ন পথে চরে,
কাকের ছা -বকের ছা পান্ডুলিপি রচে যতোসব
করিয়া মহোৎসব।
যার ধন তার নই, নেপয় মারে দই।
ন্যায়মার্গেবা আছে এখন ক’জনাই।
কাঙ্গালের কথা ফলে, তবে বাসি হলেই।
#২৬
#২৭
আমার কবিতার কালোরাত
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
মেঘনার ভাঙ্গনে
নিউ ইয়র্ক,অক্টোবর ২৬,২০০৯
উত্তাল মেঘনার ভয়াল স্রোতে বিলীন বসতবাড়ি,গাছপালা আর জনবসতি,
কত আশায় মানুষ বাঁধে ঘর, স্বপ্নেরা হতাশ এবং বড়ই হতাহত,হৃদয়ে বেদনার হাহাকার।
মেতেছে মেঘনা আজি উন্মত্তলীলায় আবার।
ভয়াবহ ভাঙ্গনে শত শত পরিবার ভিটেমাটিহারা
মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই আর আমি বিহ্বল এক দিশেহারা
জেলে দিনমজুর পথের ফকির
কখন থামাবে তোমার উন্মাদনার তান্ডবলীলা ?
মেঘনার ভাঙ্গনের আতঙ্কে দিনকাটায় দিনমজুর
পানির উত্তাল ঢেঊয়ের আঘাতে ও প্রবল স্রোতে গ্রামের পর গ্রাম বিলীন।
পূর্ণিমার জোয়ারের জোতে ভেসে যায় হৃদয়ের মনপূরা
ভাটার স্রোতের তোড়ে দূকুলের মাটি নদীতে মিশে,
ভিটেমাটি হারা ভাঙ্গনের কবলে আমাদের হৃদয়ের ভোলা।
মেঘনার পাড় জুড়ে নীরব কান্না, আমার অন্তরে প্রবল বন্যা,
মেঘনার গর্জনে সবাই তটস্হ,আত্মীয়স্বজন ইতস্ততঃবিক্ষিপ্ত।
‘মেঘনা আমাগো বেক খাইছে, অহন রইছে পরানডা। এইড়া নিলে বাইচ্চা যাইতাম’।
পুর্নিমার জোতে পানির তীব্রতা বাড়ে, ভাঙ্গে ধৈর্য্যের বাঁধ
ইলিশার নাদের মিয়ার হাট
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলেঃ
আমার গ্রাম- গুপ্তগঞ্জ স্বারাজগঞ্জ মহেশখালী দক্ষিনের তালতলা আর তালুকগ্রাম,
নদীতে বিলীন বিরান আমার গ্রাম।
আমার বাড়ি,বিলীন আমার বাড়ি,
মিঝিবাড়ি ইসলামবাড়ি গোলদারবাড়ি সর্দারবাড়ি ঢালিবাড়ি তালুকদারবাড়ি
খাঁখাঁ করে এখন নদীতে বিলীন খাঁবাড়ি
মেঘনার গর্ভে বিলীন আমার হৃদয় নিংড়ানো বাড়ি।
কখন থামবে আবার উত্তাল মাতাল মেঘনার বিশাল বিশাল ঢেউ ?
কখন থামবে আবার উন্মাদিনী মেঘনার বিরহের বিধ্বংসী ফেঊ ?
#২৪
বাংলার মাটি মুক্তিযোদ্ধার ঘাঁটি
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
নিকলীতে জনতার বিক্ষোভ
আমাদের অধিকার আদায় করবোই করবো।
প্রান্তিক পরিবার নিস্ব চড়া সুদের হারে
ধনশালা গ্রাম দারিদ্রের কোপানলে
শিয়ালিডাঙ্গার খানজাহান লোপাট করে
দারিদ্রবিমোচনের নামে দরিদ্রের ধন ধৌলতপুরে,
গোদাগাড়ীতে বোদাই মেম্বর গোদাইছা চাষ করে
শীতকালে জমিতে পানি আটকে।
কোটি টাকা পাচার করে টাকার কুমির,
রাঘব আর বোয়াল পরস্পর যোগসাজসে সিংগাপুরে,
এখন আবার হাজত খাটে কাশিমপুর কারাগারে।
শুভঙ্করের ফাঁকে আয়কর ফাঁকি দেয়
গায় সকলে একযোগে মিথ্যার বেসাতি।
সন্ত্রাস,টেন্ডারবাজ আর ধর্ষনকারীর বিচার করবে আজ আইনের নিজস্ব গতি।
আর একযোগে চালাবে যোদ্ধা সাঁড়াশী অভিযান
বাংলার বীরযুবার নতুন যৌবনের এখন নবীনবরণ।
পরাজয়ে ডরেনা বীর
আবার উঠবে তবে বাঘের মত খেপে
সাকিবের টাইগার বাহিনী,
গড়বে এক নতুন বীরগাঁথা
বিজয়ের সমুজ্জ্বল কাহিনী
ডলারের দৃঢ়তায় মুশফিকুরের অবদমিত আশায়
বুক বাঁধে আপামর জনতায়।
খমতার দাপটে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিরাই
দেশের মানচিত্র বদলাতে তৎপর।
দালালদের সাধের পাকিস্তানের মানচিত্র বদলিয়েছে
বাংলার বীরসেনা একাত্তরে।
লক্ষ শহীদের প্রানের তাজা রক্তের বিনিময়ে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেই করবে এই রক্তাক্ত মাটি,
শহীদের রক্ত সোনার চেয়েও খাঁটি।
#২৫
কোরবানী এখন
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
২৪শে নভেম্বর,২০০৯
নিউ ইয়র্ক।
প্রিয়জনের সান্নিধ্যে ঈদ উদযাপনে ঘরমুখো মানুষের ভীড়,বড়ই আনন্দঘন পরিবেশ
ব্যস্ততা প্রবল কোরবানীর পশুর হাটে ,
ব্যাপক জনসমাগম ঘটে গবাদিপশুর হাটে,
মার্কেট শপিং সেন্টার,রেলওয়ে স্টেশন বাস, লঞ্চ ঘাটে,
ঘরফেরা মানুষের উপচেপড়া ভীড়ে।
পশু হাট গাবতলীতে শুধু গরু নয় এসেছে মরুর প্রাণী উট। মহিষ, খাসী ও ভেড়া প্রচুর ।
বিদেশী বা শঙ্কর জাত ,দেশী জাতের গরু।
কাতারে কাতার দেশী জাতের ষাঁড় ।
শখের পশুটিকে সাজাতেই যতসব আয়োজন
হযরতনগরের দেওয়ানবাড়ির দাদখান
সিন্ধি জাতের ষাঁড়ের দাম হাঁকেন লাখখান।
‘ঈদের দিন বলিয়া মদিনার ঘরে ঘরে আনন্দ,’
সারা দুনিয়ার মুসলমানের ঘরে ঘরে আনন্দের ছন্দ।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আল’আমিনের আদেশ পালনের আনন্দ।
বিরাট গরুছাগলের হাটে ধর্মপ্রাণ মানুষের ঢল
লাখো টাকার গরু নিয়ে কত হইহুল্লা আর শরগোল
কে কার চেয়ে বেশি দাম হাঁকাতে পারে তারি কম্পিটিশন।
আর একদিকে নিরীহ প্রাণীরা রবের সন্তুষ্টি কামনায় নিরবে চোখের জল ফেলে
নিজের জীবন উৎসর্গ করে।
‘পশু হয়ে জন্মেছি, মানুষতো জবাই করবে একদিন।খাবে এই পবিত্র ইদে, কোরবানী হই
এটাই পরম পাওয়া।‘
গাবতলী বাজারে হাজার হাজার পশুর শেষ কারবার,
বেঁচে আছি আর কদিন,এইটুকু শোকরগোজার।
জানি তবে প্রভুর দরবারে মাংসপিন্ড যায়না,
শুধু রক্তের পিঙ্কি পড়ে আরশের আয়নায়।
উৎসর্গের নজির আর বিশ্বাসের জোর।
#২৬
আল্লাহের ঘরের মেহমান
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
২৪শে নভেম্বর,২০০৯
নিউ ইয়র্ক।
হাজীরা ইহরাম বেঁধে,
‘লাব্বায়েক আল্লাহুমা লাব্বায়েক’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে পবিত্র মক্কা নগরী,
মীনায় পাঁচওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, উচ্চস্বরে তালবিয়া পড়তে থাকে।
‘করুনার পাহাড়ের’ পাদদেশ আরাফায় হজের খোতবা শুনে মনপ্রাণে,
মুজাদালেফায় খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন শেষে মিনায় শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ করে আবাল-বৃ্দ্ধ-বণিতায়, রবের দরবারে মাথানত তাই ।
কোরবানী আদায় শেষে মাথামুন্ডন করে অবশেষে।
জান্নাতের টুকরা হাজরে আসওয়াদ ‘কালো পাথর’ দুনিয়াতে বেহেস্তের অংশ
আল্লাহ পাকের দক্ষিণ হস্ত,
হাজীরা আজ সেই কুদরতি হাতের সাথে করমর্দন করে,
শাহেনশাহের হাত ধরে যেমন করে সন্মানিত হয় অতি ছোটলোকে।
কালোপাথরের ঠোঁট আর দুইটি জিহ্বা ,কিয়ামতে সাক্ষী হবে তোমার মুক্তির তরে।
‘আমি জানি তুমি পাথরমাত্র,ক্ষতি ও উপকার কিছুই কর না,’
তোমাকে চুম্বন করি রবের প্রতি সন্মান প্রদর্শনে,
রাসূলের আদেশ পালনের পূর্ণ বাস্তবায়নে।
আতিউল্লাহা আর আতিউররাসূলা নীতির অনুসরনে।
কাবা ঘর তওয়াফ করে ঈমানদার বান্দায়
আর মদিনা মনওয়ারায় প্রিয় নবীজির রওজায়
শতকোটি সালাম জানায়।
#২৭
শিল্পীর জীবন কোরবান
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
২৪শে নভেম্বর,২০০৯
নিউ ইয়র্ক।
ইসমত আক্তার শিল্পীর কিসমতে কোরবান নাই এই ঈদে,
নিজেই কোরবানের পশু হয় এই ঈদে।
নাই আর খুশির নিঁদ,
ঘাতক স্বামী প্রানের পুরুষ কেঁড়ে নেয় তার জান।
ঘাতকের মুঘুরের আঘাতে মা শিশুর জান কোরবান।
মাতা শিল্পী এখন কোরবান।
কোলজুড়ে ফুটফুটে সন্তান,সোনার সংসার,
জামগোড়ার কাঁঠালতলায়,
অভাব অনটনের সংসার এখন বিরান,
অভাবের যাতনায় দাম্পত্যের প্রেম
দেহ আর মন থেকে পালালো।
কলহের জের আনলো টেনে কালোমেঘের
কেরোসিনের আগুনে প্রজ্জিলত মৃতদেহ
অগ্নিদগ্ধ ইসমত।
পাষন্ড পামর সীমার স্বামী
প্রতারক ঘাতক,
যে নারী তিলে তিলে উজার করে দিলো তোরে সমস্ত জীবনের আয়োজন
এই তার প্রতিদান?
শিল্পীর জন্য শোকের স্লোক এখন
দুই দিন পর খুশির ঈদ
এই প্রাণে কেন এত হারানোর ভীত?
‘তুমি আমার প্রাণের স্বামী
খোদার পরে তোমায় বড় জানি’।
শিল্পীর ভালোবাসা হৃদয়ের আশা
আজ কেন মিশে যায় বেদনার ভাষায়?
পতি, আনন্দ,দাম্পত্য এখন স্বর্গের কাছাকাছি
ব্যথার বোঝা বুকে নিয়ে আমি আজ হাসি।
নিদারুন নিষ্ঠুর পাষন্ড পামরের অট্টহাসি।
যার রক্তের চিহৃ জীবনের ফসল
হঠাৎ কেন হয় বিফল?
এখানে কিছু কিছু মানব দানবের তান্ডবে শিল্পীরা বড়ই কাতর
স্বর্গের তারা হয়ে উঁকি মারে, ছড়ায় প্রেমের আতর।
#২৮
জুড়াও আজ বিদগ্ধ প্রাণ
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
নিউ ইয়র্ক
১১/১৯/২০০৯
কী এক কালিমা লেফে দিলো হন্তারক কাপুরুষ বাংলা মায়ের বুকে
কেড়ে নিলো পিতার তিলে তিলে গড়া সমস্ত অর্জন।
শেষ রাতে লাশ ফেলে ঘাতক
এবং নিহত জাতির জনক।
অথচ কী এক মহান ক্ষমায় তারা নিঃশ্বাস নেয়
স্বাধীন বাংলায়, সোনালী বাংলায়।
হে রাজাধিরাজ তোমার সন্তানেরা আজ
তোমার বুকের চাপা পাথর উপড়ে পেল্লো।
পিতা তুমি এখন শান্তিতে ঘুমাও।
আর স্বর্গ থেকে ঊঁকি মেরে দেখো
‘আমাদের ব্যর্থতা আজ এক প্রবল শক্তিতে পরিনত।
আমাদের শোকেরা আজ শকুনের মাথা কেটে দিলো।‘
তোমার অপমানের জ্বালায় জ্বলে পুড়ে এমন এক আগ্নেয়গিরি গড়েছি আজ,
ধান্দাবাজ কাপুরষ যাদের নেই লাজ
লেজ তুলে পালাবার পথ নাই তার,
তাদের গলেতে পরিয়ে দিয়েছি প্রতিশোধের ফাঁস।
এখন তারা ঘুমের ঘোরে প্রলাপ বকে,
তোমার রক্তমাখা প্রতিচ্ছবি দেখে দেখে
অন্ধকার কবরের দিনগোনে।
ঘাতক তুমি আর কতকাল থাকবে পলাতক?
আমাদের ক্ষমা করো হে জাতির সূর্যসন্তান।
যেখানে তোমায় দেবার কথা ছিলো সাদা পাঞ্জাবি আর জায়নামাজ,
অথচ কতিপয় অবাধ্য পাষন্ড পামর পরায় কাফনের কাপড়।
এখন তারাও পায়ে শিকল পড়ে দিনগুনছে
কখন আজরাইলের ডানার আঘাতে বেরুবে তাদের কলুষিত জান।
ঘাতকের বিচারের রায় শুনো আজ পেতে তোমার কান
আর জুড়াও বিদগ্ধ প্রাণ।
‘জানের বদলে জান,
হন্তারক এখন ভয়ে আচ্ছন্ন,এই তার প্রতিদান।
তোমার দান তোমাকে করেছে কতইনা মহান।‘
আজ নবপ্রভাতের সূর্যস্নান আর নতুন দিনের শপথ তোমারি বাংলায়,
ইতিহাসের কালপুরুষ হাজার বছরের বীরপুরুষ
জাতির জনক বঙ্ঘবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
#২৮
আম্মাজানের কোরবানী এবং প্রার্থনা
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
নিউ ইয়র্ক
১১/২৬/২০০৯
ঈদের আনন্দের উল্লাসে কাটে আমার শৈশবকাল
আগের রাতে আজরাইলের চুরি দেখে কোরবানীর পশু হতবিহ্বল ,
প্রিও আব্বাজান সাতভাগে করেন গরু কোরবানী।
ভাগ যায় জান্নাতী দাদা দাদীর নামে,একভাগ পায় নানী।
চাউলের সাদা রুটি বানায় স্বর্গীয় আম্মাজান,
তাজা মাংসের ঝোল দিয়ে খাবে তাই
ভাই বোনেরা খুশিতে আটখান।
আর জায়নামাজে বসে ওজিফা পাঠ করেন,
রবের দরবারে ঐকান্তিক প্রার্থনায় রত,
তসবীহ আর জিকির করেন কতই না দ্রত।
হাজার শোকর আদায় করেনঃ
‘করুনার ভান্ডার তুমি হে মহান
নাড়ীছেড়া ধনের বদলে পশু দিয়ে
আমার বাচাধনের জান বাঁচালে’।
একাগ্রচিত্তে পাঠ করেন পবিত্র কোরান।
প্রভু তুমি দয়া করে
বাড়িয়ে দাও দুনিয়ার সমস্ত মুসলমানের ঈমান-আমান।
এবার ঈদে প্রাণের চেয়ে প্রিয় মা জননীর তরে
বলি দিতে চাই নিজের জান কোরবান।
আমার কবিতার কালরাত
#১
আমার কবিতার কালরাত
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
শুভ নব বর্ষে তোমাকে অভিনন্দন
'বিরহী বাংলার বিদ্রোহী আত্মা,
লাখো জনতার বিদেহী আত্মা'।
শকুনের দল আজ করেছে দখল
আমার রক্তাক্ত জাতির পতাকা
মুক্তিযোদ্ধারা আজ পলাতক দিশেহারা
এ কেমন পরাজয় তবে জাতীয় বীরের
এক সাগর রক্তের স্বাধীনতা।
গর্জে ঊঠো ভয়ানক আর্তনাদে শীংগার রোলে
মূছে ফেলো যাবতীয় হায়েনার দল
তোমার বূক থেকে
আমার নবযৌবোনা স্বাধীনতা।
#২
রক্তাক্ত বাংলার বুক
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
মার্চ২০০৯
নিউ ইয়র্ক
জাতির পিতার রক্তে আজো ভিজে আছে বাংলার বুক
হায়েনার দল আবার আঘাত হেনেচে
শকুনের দল আবার মাঠে নেমেচে
ধংস্বলীলা চালালো পিলখানায়,রক্তাক্ত বাংলার মুখ
ভাইয়ের জীবন কেড়ে নিলো,বোনের রক্তে আকাশ লাল আবার
সারা দেশ জুড়ে শোকের মাতম,এক সকরুন হাহাকার !
আর্তনাদ কান্না চীত্কার ,বাতাশে লাশের গন্ধ শুন্যতায় নীল
ছদ্দবেশি বাংলাদেশি,বাংলার শত্রু আজীবন নব্য দালাল
কেড়ে নিলো জাতির অর্জন অতন্ত্র প্রহরি ,নিরপরাধ সেনাবাহিনি ।
একে দিলো কালিমা ললাটে তোমার,আমার প্রিও জন্মভূমি মা জননী
ক্ষমা নাই ঘাতক তোমার, নিশ্পাপ আত্মার চীৎকার কানে বাজে
পতিত শহীদেরা বেচে রবে আমাদের হৃদয়ের মাঝে।
#৩
~স্বাধীনতা শহীদের রক্তের পবিত্র আমানত~
স্বাধীনতা শহীদের রক্তের পবিত্র আমানত
(নূরীকে উৎসর্গ)
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
আর কোন মুক্তিযোদ্বার মেয়েকে বিক্রয় নয়
কোন নিষিদ্ধ পাল্লায়
মুক্তিযোদ্ধার বিচার করে স্বাধীন দেশে
স্বাধীনতার শত্রু নব্য রাজাকার
আমার রক্ত ভেজা মাটিতে এ কেমন বিচার?
দেশ মাটি, দেশ মা, নির্যাতিত নারী,
আর কোন নারীর মুখ এসিড়ে দগ্ধ নয়
বুকের জ্বালা কঠিন জ্বালা,
আর রাজাকার দেয় কঠিন জন্মের শিক্ষা,
স্বাধীনতা শহীদের রক্তের অক্ষরে লিখা।
#৪
নব্য দালাল
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজের কবিতা
দূ্র্নীতির চরম শিখরে নব্য দালাল
আল্লাহ নাই
বিল্লাহ নাই
নাই যেনো
ইহকাল পরকাল ।
সন্ত্রাস জাতির অস্থি মজ্জায়
‘রাস্ট্রীয় সন্ত্রাস’
দালালের আলখেল্লায়।
পরাজিত তবে আজ
সবুজ বাংলা
সোনার বাংলা
রুপসী বাংলার সাজ।
#৫
বোকার ফসল পোকায় খায়
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজের কবিতা
নরাধম পিশাচ করেছে দখল
শরীরটা তার,
যাতনার ক্ষোভানলে পুডে মরে
তার অন্তর।
কবিতার শব্দগুলি কেদে মরে
তাই নারীর কোমল হৃদয়ে,
ভালবাসার বিরাট অভাব
দুঃক্ষের এই সংসারে।
#৬
উন্নাসিক পিনাক
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
সব হালায় নব্য দালাল
বেচে দেশের পানি চৈত মাসে করিয়া উলাল
হর্তাকর্তার দিন শেষ
আসুন গড়ি নতুন দেশ
ধ্বজভংগ নেতাদেরকে হটান তবে
গড়ি আমরা সোনার বাংলাদেশ
স্বাধীন দেশে পরাধীনতার নাগপাশ
ছিন্নভিন্ন করবো এবার
দালালেরই সর্বনাশ
ঈমান রাখো শক্ত তবে
বিপদ শিয়াল হয়ে জঙ্গলে পলাবে।
#৭
শ্রাবনের বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
৮/৪/০৯
আমনের আবাদ,গ্রামীন জনপদে প্রচন্ড ব্যস্ততা,
দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ,
যেখানে পানি সেখানে আমনের আবাদ,
প্রচন্ড খরায় আউশ আর আমন খরাক্লিষ্ট কৃষক,
হেক্টর হেক্টর জমিনের আমনের বিপর্যয় শোক,
মাঝ শ্রাবনের নগন্য বৃষ্টি বরেন্দ্রের বিস্তির্ন ভূমিতে,
ভূমি অঞ্চলে জমি ভেজার সাথে সাথে কৃষকের লাঙ্গল নামে,
বরেন্দ্রের নাগালের বাহিরের জমিনের মালিকের আহাজারি,
আকাশ পানে রহমতের বর্ষনের আশায় কাঁদে,
আকাশে কালো মেঘের আনাঘোনায় আশায় বুক বাঁধে,
একটু দেরিতে সব সর্বনাশ,
বৃষ্টি নির্ভর আমন ফসল একরাশ।
নাচোলের বৈদ্যপুরের কৃষক আজিজের প্রার্থনা
'বর্ষার রুক্ষতা তুলে নাও প্রভূ করো করুনা
আমাদের গোনাহের কারনে আমাদের তুমি
তোমার রহমত থেকে বঞ্ছিত করোনা'।
ফারাক্কার বিরূপ প্রভাবে
পদ্মার মূল নদী মরে গেছে,
বৃষ্টির আকাল আজ,
তানোরের খানপুরে
সবুর মিয়ার গরু ছাগল চরে,
আউশ আর আমনের চাষে বিলম্ব আজ
বিলম্ব চাষাবাদ,সেচনালীর প্রচন্ড অভাব,
আমনুরার মেঘ ঘনকালো,
গোদাগাড়ি বৃষ্টিহীন,
মাঠে কৃষান-কৃষানীর ব্যস্ততা অতীব বিরামহীন।
#৮
পাঠ করো
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
৭/৩১/০৯
তুমি আজ পাঠ করো তোমার নিজের কিতাব
জান্নাত নাকি জাহান্নাম করো তার হিসাব।
পাঠ করো তোমার প্রভুর নামে
জ্ঞ্যানের আকাশ তখন খুলে যাবে।
শুক্কুরে শুক্কুরে আট
দিনে দিনে বাড়ে মানুষের পাপ।
মাথা নত করো তোমার রবের দরবারে
আখেরাতে আঁধারের যবনিকা পাত হবে।
মানুষ প্রকৃ্তির শ্রেষ্ঠ সন্তান
অতএব করি আজ মোরা বিধাতার গুনগান।
#৯
লাল সবুজ
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
আমার আছে জল,
নয়নের গহীন তল,
উথাল পাথাল করে টলমল,
নিঃশ্বাসে আর বিশ্বাসে
লাল সবুজের দল,
বাংলার আঁচল।
আমি কতদিন উড়িয়েছি
লাল সবুজ পতাকা,
আমার ছোট্ট ছেলে বেলা
আমার পড়ালেখা।
৮/৬/২০০৯
#১০
আজিজ রেজাকারের মশা
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
নুরীর বরাতে মশার কামড়,
রক্তচোষার শুলের ভয়,
হৃদয়ে ধরপর ধরপর,
আহা কি যে বিষধর প্রাণী
খায় নূরীর লালপানি,
বড়ই ইতর জীব বাংলার মশা,
রাতের বেলা বাড়ে উৎপাত
আর খেলতামাসা।
রক্তচোষা মশার দল
কামড় মারে চিরকাল,
করে আমার লাল
চামড়া জমকালো।
#১১
~নতুন এক সংসার~
~নতুন এক সংসার~
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
৮/১/০৯
হলুদের টিয়া রঙ গায়ে মেখে নব বধু সাজে,
দুরু দুরু কাঁপে বুক,মুখ লাল অজানা এক লাজে।
জোৎস্নার ধবল চাঁদ উঁকি দেয় জীবনের আঙ্ঘিনায়,
নতুন এক পথ চলা শুরু আজ ভরা পূর্ণিমায়।
মায়ের ভাংগা মন,বাবার বুক ভরা কান্না,
ভাই আর বোনের অশ্রুর বন্যা,
সাক্ষী থাকে চিরকাল।
বিদায়ের বারতা বড়ই ব্যথাময়,
আশীর্বাদগুলি আনে নির্ভয়,
দপদপে ভবিষ্যৎ রাঙ্গা লাল।
পরম সংসার রচনা করে আমার আপনজন,
বিধাতার করুণা বারি হয়ে বয়ে সারাটি জীবন।
#১২
হৃদয়ের বন্যা
~মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
~আকাশের ঐ কান্না সেতো
আমারি হৃদয়ের বন্যা
~আর কতকাল কাঁদাবে আমায়
ওগো পরানেরি অনন্যা
#১৩
আমার কপালের লেখা
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজের কবিতাগুচ্ছ
#
আমি প্ল্যানিং মিনিস্টার
আজিজ রেজাকার
আরেকটা যুদ্ধ প্ল্যান আমার
আমি এবার পাবো পগার পার।
#
রুম্মান রশিদ খান
বিনোদন প্ল্যানিং মিনিস্টার
নায়কের হাতে দিতে হবে প্রেমপত্র একখান
নায়িকার অবশেষে বিষপান
নায়কের জীবন এক নিথর গোরস্থান।
#
বাংলার আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র
দেদিপ্যমান
জন্মদিনে গাই মোরা তোমার গুনগান
'জন্মেছি তোমার বুকে,গর্বে কাঁপে প্রান।'
বাংলা মায়ের কৃ্তি সন্তান রুম্মান রশিদ খান।
#
বাকির নাম ফাঁকি
আজ নগদ কাল বাকি
ঢাকায় বুঝি টাকা ঊড়ে
চোরা মিয়ায় দালান তোলে
স্বাধীন দেশে পরাধীন আমি
কত বোকা আমি
বোকা+আমি~ বোকামি।
#
শূভ জন্মদিনে গাই
জীবনেরই গান
বিধাতার বিধান
মানুষ তবে শ্রেষ্ঠ সন্তান।
#
জমিন এবার মুখ তুল্লো,
জানিনা আবেগহীন মানুষগুলো বাঁচে কেমন করে।
#
রাত গভীর,কালো রেখা
ঘুমের ঘোরে মগ্ন সবে।
আমি একাকি ,ভীষন একা।
আবার হবে কী দেখা ?
আমার মানব জমিন
জানো নাকি তুমি আমার কপালের লেখা।
#
আমার জমিনে আমারই রক্ত ঝরায়
আমারই আপন ভাই
ঊপল সুপথে ফিরে আয়,
আমার ক্ষতবিক্ষত বাংলায়
কুখ্যাত কিম্বা প্রক্ষ্যাত মাতবর
করে মোদের আবার যাযাবর
ঘুঘু চরায় আমার ভিটায়।
#১৪
পুরুষ তবে পাহাড় সমান
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
০৬/০৫/১৯৯৭
যখন অমাবশ্যার গাঢ় কালো তিথি
বিলিয়ে দেয় গূঢ় অন্ধকার জনপদে।
বাংলার জনপদে হেঁটেন যান,একা একা
জনাব শামসুর রাহমান।
অলৌকিক পাহাড় সমান
আলোকের ঝলকানি
বয়ে যায় হৃদয়ে আমার,
স্বপ্নিল বিভোরে মগ্ন থাকে কে বলো,
যখন কম্পমান জমিন আর সাত আসমান।
#১৫
লাশ
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
মানুষ আজ জীবন্ত লাশ
ভীবিষিকার কালো রাতে করে বসবাস
হৃদয়ে শুধু গ্লানির দ্বীর্ঘশ্বাস
বিধাতার নিষ্ঠুর পরিহাস।
#১৬
ভূপেনের গান
~বিমূর্ত এই রাত্রি আমার~
কন্ঠে ~ নাসরিন সানী
বিমূর্ত এই রাত্রি আমার মৌনতার সুতোয় বোনা একটি রঙ্গিন চাদর
সেই চাদরের ভাঁজে ভাঁজে নিঃশ্বাসেরই ছোঁয়া, আছে ভালোবাসা
আদর।
কামনার গোলাপ রাঙ্গা একটি রাত্রিতে
নীরব মনের বর্ষা আনে শ্রাবন ভাদর
সেই বরষায় ঝরঝরে নিঃশ্বাসেরই ছোঁয়ায়,আছে ভালোবাসা আদর।
ঝরে পডে ফুলের মত মিষ্টি পাতার কঁটি ধরে ঝরায় আদর,
যেন ঝরায় আদর
পরিধিবিহীন শঙ্কা মুখের মন,আঁধার কম্পন ও কাতর।
নিয়ম ভাঙ্গার নিয়মে যে থাকনা বাধার পাথর
কোমল আঘাত প্রতি আঘাত রাত্রি নিথর কাতর।
দূরের আর্তনাদের নদীর ক্রন্দন কোন বাঁকের
বক্ষেতে পেয়েছি আমি আলিঙ্গনের সাগর
সেই সাগরের স্রোতে আছে নিঃশ্বাসের ছোঁয়া
আছে ভালোবাসা আদর।
#১৭
আমার মায়ের মুখ
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
নিউ ইয়র্ক,২০০৯
আমি কতদিন দেখিনা মায়ের মুখ
তাই দুঃক্ষে ভাংগে আমার বুক।
ছোট্ট বেলা পাঠশালাতে যাবার বেলা
খাইয়ে দিতো নিজ হাতে মা গরম ভাতের নেলা
ভর দুপুরে খাঁ খাঁ রোদে পূড়ে যখন অংগ কালা
পানখার বাতাস দিয়ে যে মা নিভায় রোদের জ্বালা।
আমি কতদিন দেখিনা মায়ের মুখ
তাই দুঃক্ষে ভাংগে আমার বুক।
অসূখ বিসুখ হইলে পরে,মায়ের অন্তর কাইন্দা মরে
হাত তুলিয়া দোয়া করে আল্লাহতালার দরবারে
না ঘুমাইয়া মা বসে থাকতো বাচার শিয়রে
আমার মাকে বড় মনে পড়ে,আমার অন্তরে।
আমি কতদিন দেখিনা মায়ের মুখ
তাই দুঃক্ষে ভাংগে আমার বুক।
মায়ের বেদনার জ্বালা, এক যে বোঝেন আল্লাহতালা
বেহেস্তেতে দাওগো স্তান,ওগো মেহেরবান,
আমার অন্তর কাঁদি মরে,আমার মায়ের তরে।
আমি কতদিন দেখিনা মায়ের মুখ
তাই দুঃক্ষে ভাংগে আমার বুক।
মায়ের কলিজার ধন ,আমি মানিক রতন,
পারিনি করিতে যতন,তাই ভাংগে আমার মন।
#১৮
~বাংলার বীর~
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
বাংলা মায়ের দামাল
ছেলে তামিম ইকবাল
অর্ধশত করে রান
জুড়ায় আমাদের পরান।
শত রানে এগিয়ে চলে আশরাফুল,
জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে করেনা কোন ভূল,
মারে বার বাউন্ডারি
গোটা দুই চক্কা,
আফ্রিকার কালামানিক
পায় ক্রিজে অক্কা।
#১৯
মিরুর চোখ উৎপাটন
সালিশ
ভদ্রাসন চৌরাস্তা
ভদ্রাসন গ্রাম,তুজারপুর ,ভাঙ্গা, ফরিদপুর।
রায়ের সহোযোগিতায়~
সমাজপতি বশির হাওলাদার,ইউনুচ হাওলাদার,সিদ্দিক বেপারী,জাহাঙ্গীর শরিফ এবং খবির মাতবর
প্রত্ত্যক্ষদর্শী~ তরিকুল ইসলাম
আবু মেম্বার~
মাতবর সাব মিরু বেপারী আমার মোবাইল ফোনসেট চুরি করেছে, আমি বিচার চাই।
মিরু বেপারী~
মাতবর আমি চুরি করি নাই,আমি বেপারী বংশের দরিদ্র বাপের ছেলে।
গ্রামবাসীর সালিশ~
হাজার লোকের চিৎকার
মিরু চুরি করেছে,ওরে শাস্তি দিন।
সাজিদ মাতবর~
গ্রামের মাতবরেরা মিরুকে চোর সাব্যস্ত করেছে,
তাই আমি মিরুর দুই চোখ তুলে ফেলার আদেশ দিচ্ছি।
মিরুর বাপকে ৩০,০০০ টাকা জরিমানা করছি।
সুলতান এবং ছোরমান বেপারী এই আদেশ কার্যকর করবে।
সূলতান বেপারী~
মাতবর সাব আমার মিরু চোর নয়,নাবালগ ১৫ বছর মাত্র,
এটা সাজানো বিচার,এ বিচার আমি মানিনা।
কুক্ষ্যাত মাতবর আজ গডফাদার থেকে গড সেজে বসেছে।
আল্লাহ তুমি এই নরপশুদের বিচার কর।মাবুদ তোমার গজব আর আজাব নাজিল কর।
সাজিদ মাতবর~
"তোর ছেলের চোখ তুই উঠাবি সুলতান বেপারী,
নইলে চার চোখ একসাথে উৎপাটন করবো আমি।"
তোমরা মিরুকে শিকল দিয়ে গাছের সংগে বাধোঁ।
আমি জিবনেও আর ওরে দুনিয়ার আলো দেখতে দিমুনা।
কুত্তার মতো মারপিট কর।
সূলতান আর ছোরমান তোমরা বাপ চাচা মিলে এই দুইটা গাছের ডাল দিয়া চোখ তুলে ফেলো ।
সূলতান বেপারী~
আমি হেরে গেলাম মিরু,আমার কলিজার ধনের চোখ আমি তুললাম।
গাছের ডাল ডুকিয়ে দিলাম।
''আমি সেই দুর্ভাগা পিতা,যে নিজের হাতে ছেলের চোখ উঠাতে বাধ্য হয়েছি।''
সুলতান বেপারীর চোখ দিয়ে অনবরত জল ঝরতে থাকে।ঝরতে থাকে।
#২০
আমার পিতার লাশ
আগষ্টের কালোরাতের ধ্বংসযজ্ঞ
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
১১ ই আগষ্ট,২০০৯,নিউ ইয়র্ক
আগষ্টের কালোরাতের ধ্বংসযজ্ঞ!
ঘাতকেরা কেড়ে নিলো নিষ্ঠুর হাতে
জাতির সমস্ত অর্জন।
বাংলার আঁচল আবার রাঙ্গা লাল
বাংলার বুকে হায়েনারা নাচে
ছদ্মবেশী নব্য দালাল বেশে,
রক্তমাখা হাতে করে উলাল।
আগষ্টের অকাল মৃত্যুর ধ্বংসযজ্ঞ!
জনকের পতিত লাশ,
রাজনীতিজীবির দুর্নীতিবাজ
বাংলার আকাশে কালমেঘের উদয়
রক্তক্ষয়ী স্রোতে আবার ভিজে হৃদয়,
কাঁদে নিয়ে হাঁটি
পতিত পিতার মরদেহ।
ঘাতকেরা উড়ায় জাতির পতাকা
রক্তাক্ত বীরের বুকের পর
পিতার রক্তে লাল করে আবার বাংলার আঁচল
শহীদেরা স্তব্দতায় ডুবে,
করুনার পাত্র যেন এক অসহায় লাশ,
ধান্দাবাজ কাপুরুষ কেড়ে নেয়
জাতির কালপুরুষের শেষ নিঃশ্বাস।
পিতা ছিলেন এক প্রানপুরুষ
মায়ের সবুজ আঁচলে লিখেন লাল কালির আলোতে
স্বাধীনতা,স্বাধীনতা।
চিত্রকর আঁকে মানচিত্র বিশ্ব মানচিত্রে
পটভুমি মাটি আর মানুষ।
শিশিরে ভেজা ভোরের স্নিগ্ধতায় ভরা বাংলার বুক
প্রেমপ্রীতি সম্প্রীতির নতুন তিথি
বেলা অবেলায় গেয়ে উঠি যেন সাম্যের নীতি।
'স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশ
শরীরের রন্ধ্রের গান,
বুকের তাজা রক্ত দিয়ে আঁকবো মায়ের নাম'।
দালালেরা উলাল করে আজ মজিবরের বাংলায়
দাতালেরা মরন কামড় মারে মানসী প্রতিমায়।
দেশ বেঁচিয়া খেতে চায় যাবতীয় বেশ্যায়
পিতার রক্তমাখা স্বপ্নগুলি ধুলিতে মিলায়।
আহারে কুক্ষ্যাত তালুকদার!
ছন্নছাড়া করলো আমার পরিবার,
আজ ভাইয়ের বুকে চুরি চালায় মায়ের পেটের ভাই,
নববধূ লাশ হয় স্বামীর হাতে,
তালুকদারেরা ভাল্লুকের মত থাবা মারে,
আবার আমার বাংলার বুকে
আমি কি করে আজ থাকি সুখে?
#২১
আমার কবিতার কালরাত
বানভাসী মানুষের আর্তনাদ
মোহাম্মাদ সোহরাব আজিজ
দক্ষিনের নিদারুন খরা আর উত্তরের উজান
যায় যায় আজ নিরীহের পরান
উজানের প্রচন্ড ঢলে তিস্তার বন্যার জলে লন্ডভন্ড ঘরবাড়ি
চরখড়িবাড়ির সাওতাল পাড়া ,ডুবে আছে বন্যার তোড়ে,
পানিবন্দী মানুষ আজ ,এক দুর্বিষহ জীবন-যাপন।
ছোটখাতা গ্রামের হাজেরা খাতুন
ঘরের চাটি বেড়া নষ্ট,
বাচ্চাকাচ্চা আর গরু ছাগল নিয়ে,
করে বেড়িবাঁধে রাত যাপন,
কলাগাছের ভেলায়,কয় লালমনিরহাটের মোল্লায়-
"কাইল হঠাৎ করি বন্যাটা আসি হামার বাড়িঘরত পানি উঠিলো,
রোয়াগুলি ডুবি গেলো। এলাহামার কি হইবে জানে আল্লায়,
রান্না করিব জায়গা নাই,রাত থাকি না খায়য়া আছি,
হামারা বানভাসী।''
উত্তরাঞ্চল খুব নিম্নাঞ্চল ,ভারিবর্ষন আনে প্রবল প্লাবন
টানা ভারিবর্ষন,
উজানের পাহাড়ী ঢল
ঠাকুরগাঁও পঞ্চগড় নদীর পানিতে টলমল
অবিরাম ভারিবর্ষনে কুল ছুঁইছুঁই ,নদীকুল নেতিয়ে পড়ে
চারিদিকে তীব্র ভাংগন। নিষ্ঠুর লাগাতার বর্ষন।
বগুড়া,শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে জলাবদ্ধতা
প্লাবনের ক্রুদ্ধতা,ভাংগে যাবতীয় পুন্যতার স্তব্দতা।
প্লাবিত আত্রাই,মান্দা,জমুনেশ্বরী,চিকলী,চৌহালী
প্রবল বর্ষনে হু হু করে মহাদেবপুর , বদরগঞ্জ রংগপুরের।
উজানের প্লাবনে টাঙন নদীর ভাঙন,করতোয়া,শুক,পূণর্ভবা,চাওয়াই,
তালমা ,কুরুম,ভুল্লি,রাশিয়া,নাহনা,নাগয়া,পাটকী,গাবুরা,বনাচন্ডী
শিনুয়া,লাছি,নাখাল,আমল-ধামল,তিরনই,
ব্যাংরাং,গাওক ভেরসা,কুলিক, আর নাগনদী
অজস্র নিরীহ মানুষ থৈথৈ পানিবন্দী।
ভাসিয়ে নিলো আমন,পুকুরের মাছ,গাছ ,পশু,ভেঙ্গেছে কাঁচাবাড়ি,
বন্যার্তের অর্ধাহার আর অনাহার ,পেটের ক্ষুধায় কাঁপে হাড়্ড়ি।
আমার কবিতার কালরাত ১
#২২
আমার কবিতার কালোরাত
ধাপ্পাবাজের থাপ্পর
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
আমরা এখন ধান ভানতে শিবের গীত গাই,
জলবায়ুর পরিবর্তনে পল্টনে মশাল মিছিল লাগাই,
সকল পোয়াতিকে লাউ দিয়ে বাচ্চা মুরগীর ঝোল খাওয়াই।
ইসবগুলের ভুসি খাইয়া কলিজা জুড়াই,
লুটপাট করে পাহাড়ের সম্পদ গড়ি।
ধরমের ষাঁড়ের মত ধর্মশালায় বসে ধেনো মদ খাই।
ধাপ্পাবাজ ঘাতকের দোসর সেজে রাষ্ট্রযন্ত্র চালাই।
‘বিশ্বে খাদ্য সঙ্কটের আওয়াজ’,’শতাব্দীর দীর্ঘ খরায় কাবু ধরাতল’,
‘বুদ্ধির গোড়ায় ধোঁয়া দিয়ে’,’দারিদ্রের মুলশিকড় উৎপাটনে ব্রত’
আমরা সবাই রত।
‘নাড়ির টানে শিকড়ে পানি ঢালি’ আর শিকড় কাটি চোখে ধুলি দিয়ে।
ধোপা-নাপিত বন্ধে বড় একরোখা আমরা।
অথচ ‘ক্ষুধা-দারিদ্র-বৈষম্য-বঞ্চনা মুক্ত’ ধুলিশয্যা গড়তে একপা খাড়া,
ফাঁসির রজ্জু গলায় ঝুলিয়ে
‘জাতির জনকের হত্যাকান্ড অপরিহার্য ছিলো’ বলে এখনো
ধানাই-পানাইয়ের ধকল চালাই অবরে সবরে,
বিকারগ্রস্থ রসু খাঁর দলে নাম লিখাই ধাপধাড়া গোবিন্দপুর যাবো বলে,
হয় ধারে কাটবো নয় ভারে কাটবো ধানগাছের তক্তা,
কথার ধোকড় ধনদাস আমরা ধামালি বাজাই অবনিতলে,
ধুরন্ধরের দল চারিধারে,আর ধোড়িবাজিতে সয়লাব,
ধারা সম্পাত আজ ধ্বানতারির নক্ষত্রপাতে।
নিউ ইয়র্ক,২১শে অক্টোবর,২০০৯।
#২৩
আমার কবিতার কালোরাত
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
ফেরেব্বাজের ফুসমন্তর এবং ভেখধারী পুতলের নাচ
বউকাটকি বউদির জীবন ভীষন্ন করে তোলে,
বিষ কাটালির বিষে প্রাণ যে বাঁচেনা আর,
বিষকন্যা বুকের রক্ত চুষিয়া খায়।
মাটি করে সোনার স্বপ্ন কেড়ে নেয় প্রাণের প্রাণ,
গায়ে পড়িয়া কোন্দল চালায়।
আচারভ্রষ্টের অনাচারে ঠোঁটকাটারা পেছনের দরজা দিয়ে পালায়,
টাকা খায় টাকা মারে যতোসব ঘুনে পোকায়,
টাকার কুমির ইমারত গড়ে আবার ঢাকায়।
কিল খেয়ে কিল চুরি করে
অনবরত নিরীহ আবাল-বৃদ্ধ -বণিতার জনতায়,
গোকুলের ষাঁড়েরা আজ পাথরে পাঁচ কিল মারে,
পাড়াকুদুলিরা পূণ্য ক্ষয় করে অহরহ,
সুখ নাই এখন আর সংসারে।
#২৪
কৈতববাজের রাজনীতি
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
নিউ ইয়র্ক, অক্টোবর ৮,২০০৯
বাজারে এখন কাক আর কোকিলের সমান দর
সবাই কাজের বেলায় কাজী
আবার কাজ ফুরালে পাজী,
কাজেও নাই কামেও নাই যতোসব কৈতববাজি।
কাটখোট্টার কবলে আমার মানব জমিন তাই।
কাটগোঁড়ার কায়েম করে ত্রাসের রাজত্তি,
কাটাগায়ে নুনের ছিটা মারে যাবতীয় কৈতবধারী।
কানা-খোঁড়ার এক গুন,
কানা গরু ভিন্ন পথে চরে,
কাকের ছা -বকের ছা পান্ডুলিপি রচে যতোসব
করিয়া মহোৎসব।
যার ধন তার নই, নেপয় মারে দই।
ন্যায়মার্গেবা আছে এখন ক’জনাই।
কাঙ্গালের কথা ফলে, তবে বাসি হলেই।
#২৬
#২৭
আমার কবিতার কালোরাত
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
মেঘনার ভাঙ্গনে
নিউ ইয়র্ক,অক্টোবর ২৬,২০০৯
উত্তাল মেঘনার ভয়াল স্রোতে বিলীন বসতবাড়ি,গাছপালা আর জনবসতি,
কত আশায় মানুষ বাঁধে ঘর, স্বপ্নেরা হতাশ এবং বড়ই হতাহত,হৃদয়ে বেদনার হাহাকার।
মেতেছে মেঘনা আজি উন্মত্তলীলায় আবার।
ভয়াবহ ভাঙ্গনে শত শত পরিবার ভিটেমাটিহারা
মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই আর আমি বিহ্বল এক দিশেহারা
জেলে দিনমজুর পথের ফকির
কখন থামাবে তোমার উন্মাদনার তান্ডবলীলা ?
মেঘনার ভাঙ্গনের আতঙ্কে দিনকাটায় দিনমজুর
পানির উত্তাল ঢেঊয়ের আঘাতে ও প্রবল স্রোতে গ্রামের পর গ্রাম বিলীন।
পূর্ণিমার জোয়ারের জোতে ভেসে যায় হৃদয়ের মনপূরা
ভাটার স্রোতের তোড়ে দূকুলের মাটি নদীতে মিশে,
ভিটেমাটি হারা ভাঙ্গনের কবলে আমাদের হৃদয়ের ভোলা।
মেঘনার পাড় জুড়ে নীরব কান্না, আমার অন্তরে প্রবল বন্যা,
মেঘনার গর্জনে সবাই তটস্হ,আত্মীয়স্বজন ইতস্ততঃবিক্ষিপ্ত।
‘মেঘনা আমাগো বেক খাইছে, অহন রইছে পরানডা। এইড়া নিলে বাইচ্চা যাইতাম’।
পুর্নিমার জোতে পানির তীব্রতা বাড়ে, ভাঙ্গে ধৈর্য্যের বাঁধ
ইলিশার নাদের মিয়ার হাট
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলেঃ
আমার গ্রাম- গুপ্তগঞ্জ স্বারাজগঞ্জ মহেশখালী দক্ষিনের তালতলা আর তালুকগ্রাম,
নদীতে বিলীন বিরান আমার গ্রাম।
আমার বাড়ি,বিলীন আমার বাড়ি,
মিঝিবাড়ি ইসলামবাড়ি গোলদারবাড়ি সর্দারবাড়ি ঢালিবাড়ি তালুকদারবাড়ি
খাঁখাঁ করে এখন নদীতে বিলীন খাঁবাড়ি
মেঘনার গর্ভে বিলীন আমার হৃদয় নিংড়ানো বাড়ি।
কখন থামবে আবার উত্তাল মাতাল মেঘনার বিশাল বিশাল ঢেউ ?
কখন থামবে আবার উন্মাদিনী মেঘনার বিরহের বিধ্বংসী ফেঊ ?
#২৪
বাংলার মাটি মুক্তিযোদ্ধার ঘাঁটি
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
নিকলীতে জনতার বিক্ষোভ
আমাদের অধিকার আদায় করবোই করবো।
প্রান্তিক পরিবার নিস্ব চড়া সুদের হারে
ধনশালা গ্রাম দারিদ্রের কোপানলে
শিয়ালিডাঙ্গার খানজাহান লোপাট করে
দারিদ্রবিমোচনের নামে দরিদ্রের ধন ধৌলতপুরে,
গোদাগাড়ীতে বোদাই মেম্বর গোদাইছা চাষ করে
শীতকালে জমিতে পানি আটকে।
কোটি টাকা পাচার করে টাকার কুমির,
রাঘব আর বোয়াল পরস্পর যোগসাজসে সিংগাপুরে,
এখন আবার হাজত খাটে কাশিমপুর কারাগারে।
শুভঙ্করের ফাঁকে আয়কর ফাঁকি দেয়
গায় সকলে একযোগে মিথ্যার বেসাতি।
সন্ত্রাস,টেন্ডারবাজ আর ধর্ষনকারীর বিচার করবে আজ আইনের নিজস্ব গতি।
আর একযোগে চালাবে যোদ্ধা সাঁড়াশী অভিযান
বাংলার বীরযুবার নতুন যৌবনের এখন নবীনবরণ।
পরাজয়ে ডরেনা বীর
আবার উঠবে তবে বাঘের মত খেপে
সাকিবের টাইগার বাহিনী,
গড়বে এক নতুন বীরগাঁথা
বিজয়ের সমুজ্জ্বল কাহিনী
ডলারের দৃঢ়তায় মুশফিকুরের অবদমিত আশায়
বুক বাঁধে আপামর জনতায়।
খমতার দাপটে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিরাই
দেশের মানচিত্র বদলাতে তৎপর।
দালালদের সাধের পাকিস্তানের মানচিত্র বদলিয়েছে
বাংলার বীরসেনা একাত্তরে।
লক্ষ শহীদের প্রানের তাজা রক্তের বিনিময়ে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেই করবে এই রক্তাক্ত মাটি,
শহীদের রক্ত সোনার চেয়েও খাঁটি।
#২৫
কোরবানী এখন
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
২৪শে নভেম্বর,২০০৯
নিউ ইয়র্ক।
প্রিয়জনের সান্নিধ্যে ঈদ উদযাপনে ঘরমুখো মানুষের ভীড়,বড়ই আনন্দঘন পরিবেশ
ব্যস্ততা প্রবল কোরবানীর পশুর হাটে ,
ব্যাপক জনসমাগম ঘটে গবাদিপশুর হাটে,
মার্কেট শপিং সেন্টার,রেলওয়ে স্টেশন বাস, লঞ্চ ঘাটে,
ঘরফেরা মানুষের উপচেপড়া ভীড়ে।
পশু হাট গাবতলীতে শুধু গরু নয় এসেছে মরুর প্রাণী উট। মহিষ, খাসী ও ভেড়া প্রচুর ।
বিদেশী বা শঙ্কর জাত ,দেশী জাতের গরু।
কাতারে কাতার দেশী জাতের ষাঁড় ।
শখের পশুটিকে সাজাতেই যতসব আয়োজন
হযরতনগরের দেওয়ানবাড়ির দাদখান
সিন্ধি জাতের ষাঁড়ের দাম হাঁকেন লাখখান।
‘ঈদের দিন বলিয়া মদিনার ঘরে ঘরে আনন্দ,’
সারা দুনিয়ার মুসলমানের ঘরে ঘরে আনন্দের ছন্দ।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আল’আমিনের আদেশ পালনের আনন্দ।
বিরাট গরুছাগলের হাটে ধর্মপ্রাণ মানুষের ঢল
লাখো টাকার গরু নিয়ে কত হইহুল্লা আর শরগোল
কে কার চেয়ে বেশি দাম হাঁকাতে পারে তারি কম্পিটিশন।
আর একদিকে নিরীহ প্রাণীরা রবের সন্তুষ্টি কামনায় নিরবে চোখের জল ফেলে
নিজের জীবন উৎসর্গ করে।
‘পশু হয়ে জন্মেছি, মানুষতো জবাই করবে একদিন।খাবে এই পবিত্র ইদে, কোরবানী হই
এটাই পরম পাওয়া।‘
গাবতলী বাজারে হাজার হাজার পশুর শেষ কারবার,
বেঁচে আছি আর কদিন,এইটুকু শোকরগোজার।
জানি তবে প্রভুর দরবারে মাংসপিন্ড যায়না,
শুধু রক্তের পিঙ্কি পড়ে আরশের আয়নায়।
উৎসর্গের নজির আর বিশ্বাসের জোর।
#২৬
আল্লাহের ঘরের মেহমান
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
২৪শে নভেম্বর,২০০৯
নিউ ইয়র্ক।
হাজীরা ইহরাম বেঁধে,
‘লাব্বায়েক আল্লাহুমা লাব্বায়েক’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে পবিত্র মক্কা নগরী,
মীনায় পাঁচওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, উচ্চস্বরে তালবিয়া পড়তে থাকে।
‘করুনার পাহাড়ের’ পাদদেশ আরাফায় হজের খোতবা শুনে মনপ্রাণে,
মুজাদালেফায় খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন শেষে মিনায় শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ করে আবাল-বৃ্দ্ধ-বণিতায়, রবের দরবারে মাথানত তাই ।
কোরবানী আদায় শেষে মাথামুন্ডন করে অবশেষে।
জান্নাতের টুকরা হাজরে আসওয়াদ ‘কালো পাথর’ দুনিয়াতে বেহেস্তের অংশ
আল্লাহ পাকের দক্ষিণ হস্ত,
হাজীরা আজ সেই কুদরতি হাতের সাথে করমর্দন করে,
শাহেনশাহের হাত ধরে যেমন করে সন্মানিত হয় অতি ছোটলোকে।
কালোপাথরের ঠোঁট আর দুইটি জিহ্বা ,কিয়ামতে সাক্ষী হবে তোমার মুক্তির তরে।
‘আমি জানি তুমি পাথরমাত্র,ক্ষতি ও উপকার কিছুই কর না,’
তোমাকে চুম্বন করি রবের প্রতি সন্মান প্রদর্শনে,
রাসূলের আদেশ পালনের পূর্ণ বাস্তবায়নে।
আতিউল্লাহা আর আতিউররাসূলা নীতির অনুসরনে।
কাবা ঘর তওয়াফ করে ঈমানদার বান্দায়
আর মদিনা মনওয়ারায় প্রিয় নবীজির রওজায়
শতকোটি সালাম জানায়।
#২৭
শিল্পীর জীবন কোরবান
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
২৪শে নভেম্বর,২০০৯
নিউ ইয়র্ক।
ইসমত আক্তার শিল্পীর কিসমতে কোরবান নাই এই ঈদে,
নিজেই কোরবানের পশু হয় এই ঈদে।
নাই আর খুশির নিঁদ,
ঘাতক স্বামী প্রানের পুরুষ কেঁড়ে নেয় তার জান।
ঘাতকের মুঘুরের আঘাতে মা শিশুর জান কোরবান।
মাতা শিল্পী এখন কোরবান।
কোলজুড়ে ফুটফুটে সন্তান,সোনার সংসার,
জামগোড়ার কাঁঠালতলায়,
অভাব অনটনের সংসার এখন বিরান,
অভাবের যাতনায় দাম্পত্যের প্রেম
দেহ আর মন থেকে পালালো।
কলহের জের আনলো টেনে কালোমেঘের
কেরোসিনের আগুনে প্রজ্জিলত মৃতদেহ
অগ্নিদগ্ধ ইসমত।
পাষন্ড পামর সীমার স্বামী
প্রতারক ঘাতক,
যে নারী তিলে তিলে উজার করে দিলো তোরে সমস্ত জীবনের আয়োজন
এই তার প্রতিদান?
শিল্পীর জন্য শোকের স্লোক এখন
দুই দিন পর খুশির ঈদ
এই প্রাণে কেন এত হারানোর ভীত?
‘তুমি আমার প্রাণের স্বামী
খোদার পরে তোমায় বড় জানি’।
শিল্পীর ভালোবাসা হৃদয়ের আশা
আজ কেন মিশে যায় বেদনার ভাষায়?
পতি, আনন্দ,দাম্পত্য এখন স্বর্গের কাছাকাছি
ব্যথার বোঝা বুকে নিয়ে আমি আজ হাসি।
নিদারুন নিষ্ঠুর পাষন্ড পামরের অট্টহাসি।
যার রক্তের চিহৃ জীবনের ফসল
হঠাৎ কেন হয় বিফল?
এখানে কিছু কিছু মানব দানবের তান্ডবে শিল্পীরা বড়ই কাতর
স্বর্গের তারা হয়ে উঁকি মারে, ছড়ায় প্রেমের আতর।
#২৮
জুড়াও আজ বিদগ্ধ প্রাণ
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
নিউ ইয়র্ক
১১/১৯/২০০৯
কী এক কালিমা লেফে দিলো হন্তারক কাপুরুষ বাংলা মায়ের বুকে
কেড়ে নিলো পিতার তিলে তিলে গড়া সমস্ত অর্জন।
শেষ রাতে লাশ ফেলে ঘাতক
এবং নিহত জাতির জনক।
অথচ কী এক মহান ক্ষমায় তারা নিঃশ্বাস নেয়
স্বাধীন বাংলায়, সোনালী বাংলায়।
হে রাজাধিরাজ তোমার সন্তানেরা আজ
তোমার বুকের চাপা পাথর উপড়ে পেল্লো।
পিতা তুমি এখন শান্তিতে ঘুমাও।
আর স্বর্গ থেকে ঊঁকি মেরে দেখো
‘আমাদের ব্যর্থতা আজ এক প্রবল শক্তিতে পরিনত।
আমাদের শোকেরা আজ শকুনের মাথা কেটে দিলো।‘
তোমার অপমানের জ্বালায় জ্বলে পুড়ে এমন এক আগ্নেয়গিরি গড়েছি আজ,
ধান্দাবাজ কাপুরষ যাদের নেই লাজ
লেজ তুলে পালাবার পথ নাই তার,
তাদের গলেতে পরিয়ে দিয়েছি প্রতিশোধের ফাঁস।
এখন তারা ঘুমের ঘোরে প্রলাপ বকে,
তোমার রক্তমাখা প্রতিচ্ছবি দেখে দেখে
অন্ধকার কবরের দিনগোনে।
ঘাতক তুমি আর কতকাল থাকবে পলাতক?
আমাদের ক্ষমা করো হে জাতির সূর্যসন্তান।
যেখানে তোমায় দেবার কথা ছিলো সাদা পাঞ্জাবি আর জায়নামাজ,
অথচ কতিপয় অবাধ্য পাষন্ড পামর পরায় কাফনের কাপড়।
এখন তারাও পায়ে শিকল পড়ে দিনগুনছে
কখন আজরাইলের ডানার আঘাতে বেরুবে তাদের কলুষিত জান।
ঘাতকের বিচারের রায় শুনো আজ পেতে তোমার কান
আর জুড়াও বিদগ্ধ প্রাণ।
‘জানের বদলে জান,
হন্তারক এখন ভয়ে আচ্ছন্ন,এই তার প্রতিদান।
তোমার দান তোমাকে করেছে কতইনা মহান।‘
আজ নবপ্রভাতের সূর্যস্নান আর নতুন দিনের শপথ তোমারি বাংলায়,
ইতিহাসের কালপুরুষ হাজার বছরের বীরপুরুষ
জাতির জনক বঙ্ঘবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
#২৮
আম্মাজানের কোরবানী এবং প্রার্থনা
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
নিউ ইয়র্ক
১১/২৬/২০০৯
ঈদের আনন্দের উল্লাসে কাটে আমার শৈশবকাল
আগের রাতে আজরাইলের চুরি দেখে কোরবানীর পশু হতবিহ্বল ,
প্রিও আব্বাজান সাতভাগে করেন গরু কোরবানী।
ভাগ যায় জান্নাতী দাদা দাদীর নামে,একভাগ পায় নানী।
চাউলের সাদা রুটি বানায় স্বর্গীয় আম্মাজান,
তাজা মাংসের ঝোল দিয়ে খাবে তাই
ভাই বোনেরা খুশিতে আটখান।
আর জায়নামাজে বসে ওজিফা পাঠ করেন,
রবের দরবারে ঐকান্তিক প্রার্থনায় রত,
তসবীহ আর জিকির করেন কতই না দ্রত।
হাজার শোকর আদায় করেনঃ
‘করুনার ভান্ডার তুমি হে মহান
নাড়ীছেড়া ধনের বদলে পশু দিয়ে
আমার বাচাধনের জান বাঁচালে’।
একাগ্রচিত্তে পাঠ করেন পবিত্র কোরান।
প্রভু তুমি দয়া করে
বাড়িয়ে দাও দুনিয়ার সমস্ত মুসলমানের ঈমান-আমান।
এবার ঈদে প্রাণের চেয়ে প্রিয় মা জননীর তরে
বলি দিতে চাই নিজের জান কোরবান।
বিসমিল্লাহের রাহমানের রাহীম
সফল ছবির নির্মাতা আজিজ রেজাকারের চর কেঁম্বা
আসিতেছে সারা দুনিয়ার বিশিষ্ট গ্রাম গঞ্জের বাস্তব রূপ নিয়ে আপনাদেরই নখদর্পণে/
চর কেঁম্বা
চর কেঁম্বা আজিজ রাজাকরের বাপের বাড়ি
চর হাজারী মায়ের বাড়ি
চর পার্বতী বোনের বাড়ি
গ্রামেতে জন্ম বলে খায় রে রেজাকার গালি
'হালার থালার বাড়ি নওয়াখালী'
নি অর্কে চালায় ঠেলা গাড়ি/
প্রযোজনায় এ রেজাকার ফিল্মস
"গেরাম বাংলা ইন্টারন্যাশনাল " এর বিনীত নিবেদন চর কেঁম্বা
অস্তিত্ব সংকটে বির্পর্যস্ত টাউট বাটপারের দু চোখের শূল চর কেঁম্বা
আসিতে বাদিত থাকিবে চর কেঁম্বা 'মাই লাভ'
সফল ছবির নির্মাতা আজিজ রেজাকারের চর কেঁম্বা
আসিতেছে সারা দুনিয়ার বিশিষ্ট গ্রাম গঞ্জের বাস্তব রূপ নিয়ে আপনাদেরই নখদর্পণে/
চর কেঁম্বা
চর কেঁম্বা আজিজ রাজাকরের বাপের বাড়ি
চর হাজারী মায়ের বাড়ি
চর পার্বতী বোনের বাড়ি
গ্রামেতে জন্ম বলে খায় রে রেজাকার গালি
'হালার থালার বাড়ি নওয়াখালী'
নি অর্কে চালায় ঠেলা গাড়ি/
প্রযোজনায় এ রেজাকার ফিল্মস
"গেরাম বাংলা ইন্টারন্যাশনাল " এর বিনীত নিবেদন চর কেঁম্বা
অস্তিত্ব সংকটে বির্পর্যস্ত টাউট বাটপারের দু চোখের শূল চর কেঁম্বা
আসিতে বাদিত থাকিবে চর কেঁম্বা 'মাই লাভ'
Tuesday, June 19, 2012
'বাবা দিবসের দু:খিনি মা'
'বাবা দিবসের দু:খিনি মা'
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
৬/১৮/২০১২
এবারের বাবা দিবসে এক নরাধম পুত্রের মাতলামি দেখলাম আমার নয়নের অশ্রু জলে
নরকের কীটের মরণ কামড়ে
স্বর্গীয় দূত মা বাবার চরম অপমানে
বিধাতার আরশ দোলে
বলে 'আব্বা একটা মস্ত বড় পাগল
জন্মদাত্রী মায়ের আব্রুতা করে দখল'
আহা কি এক নিমকহারাম হারামখোর,
নেশার ঘোরে খুঁড়েছে নিজস্ব গোর!
আমি বলি বাবা বটগাছ
মাথানত করার মিনার হতো আল্লাহের পর,
মা জননী বেহেস্তের রানী
জান্নাত মাতার পদতলে,
মায়ের চিত্কারে সৃষ্টিকর্তার আরশ দোলে
নাহলতের ডঙ্কার উঠে হুঙ্কারে,
আমি এক বাংলা মায়ের ছেলে
আমার মা বাবার অবমাননায় রক্ত টগবগ করে
মাথা শুন্যতায় মিলায়
ক্রুদ্ধ টাইটানের মতই কেঁপে উঠি
মা জননীর আব্রুতা ডেকে দিতে
গায়ের চামড়া কেটে পুত পবিত্র শাড়ি জড়িয়ে দিতে
দুখিনি জননীর পায়ের জুতা হতে/
'বাবা দিবসের দু:খিনি মা'
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
৬/১৮/২০১২
Thursday, November 10, 2011
The Sadness Of November
মা মাগো
আমি আজি ভিখ মাগি
বিধাতার দরবারে দুই হাত তুলে
তোমার তিরোধানে
আমার অন্তর শুধু হাহাকার করে,
ভাসি আমরাঃ বেবী বিউটি রুমা রুনা
মানিক মিজান আর তোমার ফুলের মৌ
দুই নয়নের জলে।
#
"সীমা খাতুন আর মোমিনের স্বর্গীয় প্রেমের পদাবলী"
কার্তিকের ঘনকালো রাত্রিতে কোদালিয়া গ্রামে
দপাদপ কোদালের কোপ পড়ে
সীমা আর মোমিনের স্বর্গীয় শরীরে,
'ঘোড়ার কংকালময় বালিয়াড়ি আর ফনিমনসায়'
সর্বদা গেঁথে আছে আজ প্রেমিক যুগলের
অনাকাংখিত হাহাকার/
মেহগনির শাখায় এক রশিতে একাকার
মানবের দুটি মন দুটি দেহ
স্বর্গের তারারা জমিনে লুটে পরে
একাত্ম পদ্মের কন্টক রাঙ্গা পায়!
https://m.facebook.com/l.php?u=http%3A%2F%2Fkhu.music.s3.amazonaws.com%2Fusersong_4e9da45504509.mp3&h=pAQEXd_Dx
#
"বাংলাদেশের হৃদয় থেকে লিখছি"
বাংলার বীরযুবা নুর হোসেনের স্মরণীয় আত্মদানের সন্মানে
আমার বাংলা মায়ের জন্য নগন্য স্বান্তনার গান
গর্জে উঠো স্বাধীনতা
http://khu.music.s3.amazonaws.com/usersong_4e9c6666bee72.mp3
বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়
http://khu.music.s3.amazonaws.com/usersong_4e24b7403c268.mp3
#
"ঘোড়ার কংকাল্ময় বলিয়াডি
আর ফনিমনসায় সর্বদা থাকবে লেগে
আমার নিজস্ব হাহাকার!!
নাসরিন,
তোমার বিরহে আমার হৃদয়ে
আজো বাজে
বেদনার বীণ!!"
Friday, August 12, 2011
বাংলার বুক চিরে/BANGLAR BUK CHIREY
বাংলার বুক চিরে
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
#
মিতুলের জন্মদিনে
মিতুলের মাকে
বিশ্বজনীন মা হিসাবে সন্মান জানাই/
#
শব্দের কাঙ্গাল আমি
অন্ধের মত আমার পথ হাতড়ানো/
~শামসুর রাহমান~/
#
শব্দের সন্ধানে দিনেরাতে ঘুরে ফিরি
বাংলার আনাচে কানাচে,
বাংলার বুক চিরে
জেগে উঠে আবার সীমাহীন হাহাকার
দানবের উল্লাসে মানবেরা খুব ছারখার/
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
#
মিতুলের জন্মদিনে
মিতুলের মাকে
বিশ্বজনীন মা হিসাবে সন্মান জানাই/
#
শব্দের কাঙ্গাল আমি
অন্ধের মত আমার পথ হাতড়ানো/
~শামসুর রাহমান~/
#
শব্দের সন্ধানে দিনেরাতে ঘুরে ফিরি
বাংলার আনাচে কানাচে,
বাংলার বুক চিরে
জেগে উঠে আবার সীমাহীন হাহাকার
দানবের উল্লাসে মানবেরা খুব ছারখার/
Thursday, August 11, 2011
ইশ্বরের জমিনের ফুলের কুঁড়ি /Ishworer Jominer Phuler Kuri
আবু তোরাবে ১৩ নম্বর মৃত্যু সংকেত বাজে/
কবরের পর কবর খুঁড়ে আমার পাজরের মাঝে/
কিশোর কিশোরীদের খাদে ডোবা মরা লাশ/
মায়ানির বুকপাটা আর্তনাদ আর হাহুতাশ/
কবরের পর কবর খুঁড়ে আমার পাজরের মাঝে/
আবু তোরাবে ১৩ নম্বর মৃত্যু সংকেত বাজে
কবরের পর কবর খুঁড়ে আমার পাজরের মাঝে/
আবু তোরাব উচ্চবিদ্যালয়ের প্রায় ১০ জন ছাত্রী শোকে মূর্ছা গেছে।
আবু তোরাব বাজার আবু তোরাব উচ্চবিদ্যালয়
সৈদালি মায়ানী মগাটিয়া আর কৈয়ারছড়া গ্রামে
শোকের মাতম নামে
জীবনের প্রদীপ নিভে অতীব অকালে/
আবু তোরাবে ১৩ নম্বর মৃত্যু সংকেত বাজে!
কবরের পর কবর খুঁড়ে আমার পাজরের মাঝে/
আবু তোরাব বাজার
আর বড় তাকিয়া সংযোগ সড়ক
পাশের ডোবা হাহাকার রত
কাঁদে আজ দিবারত অনবরত
এই বুজি লিখা ছিলো আমার সোনামনিদের কপালে/
দুই গোলে
জিতেছিল আবু তোরাব,
আনন্দের মিছিল এখন মোড়া নিস্তব্দতার সাদা কাফনে/
মায়ের বুকফাটা আর্তনাদ প্রতিধ্বনি তোলে বাংলার সরল জমিনে/
আবু তোরাবে ১৩ নম্বর মৃত্যু সংকেত বাজে!
কবরের পর কবর খুঁড়ে আমার পাজরের মাঝে/
#
মাহে রমজানের শিক্ষা
সোমালিয়ার নারী আর শিশুরা ভীষণ ক্ষুধার্ত
আর্তের সেবায় আজি মোরা করি ব্রত/
জীবে দয়া করে সেবে যাই ঈশ্বর
মানুষের জীবন অতীব নশ্বর /
#
ইশ্বরের জমিনের ফুলের কুঁড়ি
অকালে ঝরে যায়
আমার হৃদয়ের রাজপথ সোমালিয়ায় !
#
মিতুলের মাতা
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
ধরিয়া জঠরে
গড়িয়াছে তোমারে
এমন দরদী পাবে কোথা আর
মা বলিয়া মিতুল ডাকরে একবার/
কবরের পর কবর খুঁড়ে আমার পাজরের মাঝে/
কিশোর কিশোরীদের খাদে ডোবা মরা লাশ/
মায়ানির বুকপাটা আর্তনাদ আর হাহুতাশ/
কবরের পর কবর খুঁড়ে আমার পাজরের মাঝে/
আবু তোরাবে ১৩ নম্বর মৃত্যু সংকেত বাজে
কবরের পর কবর খুঁড়ে আমার পাজরের মাঝে/
আবু তোরাব উচ্চবিদ্যালয়ের প্রায় ১০ জন ছাত্রী শোকে মূর্ছা গেছে।
আবু তোরাব বাজার আবু তোরাব উচ্চবিদ্যালয়
সৈদালি মায়ানী মগাটিয়া আর কৈয়ারছড়া গ্রামে
শোকের মাতম নামে
জীবনের প্রদীপ নিভে অতীব অকালে/
আবু তোরাবে ১৩ নম্বর মৃত্যু সংকেত বাজে!
কবরের পর কবর খুঁড়ে আমার পাজরের মাঝে/
আবু তোরাব বাজার
আর বড় তাকিয়া সংযোগ সড়ক
পাশের ডোবা হাহাকার রত
কাঁদে আজ দিবারত অনবরত
এই বুজি লিখা ছিলো আমার সোনামনিদের কপালে/
দুই গোলে
জিতেছিল আবু তোরাব,
আনন্দের মিছিল এখন মোড়া নিস্তব্দতার সাদা কাফনে/
মায়ের বুকফাটা আর্তনাদ প্রতিধ্বনি তোলে বাংলার সরল জমিনে/
আবু তোরাবে ১৩ নম্বর মৃত্যু সংকেত বাজে!
কবরের পর কবর খুঁড়ে আমার পাজরের মাঝে/
#
মাহে রমজানের শিক্ষা
সোমালিয়ার নারী আর শিশুরা ভীষণ ক্ষুধার্ত
আর্তের সেবায় আজি মোরা করি ব্রত/
জীবে দয়া করে সেবে যাই ঈশ্বর
মানুষের জীবন অতীব নশ্বর /
#
ইশ্বরের জমিনের ফুলের কুঁড়ি
অকালে ঝরে যায়
আমার হৃদয়ের রাজপথ সোমালিয়ায় !
#
মিতুলের মাতা
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
ধরিয়া জঠরে
গড়িয়াছে তোমারে
এমন দরদী পাবে কোথা আর
মা বলিয়া মিতুল ডাকরে একবার/
Saturday, April 23, 2011
জীবন আর মরেণর েখলা
আমার কিবতার কােলরাত
েমাহাম্মদ েসাহরাব আিজজ
#
আমার বুেকর িভতর বসত কের বাংলােদশ,
সব মানুেষর নাম ধাম বেল িদেত লােগ এক িনেমশ।
'িবয়ািনবাজােরর ধনকুেবর টাকার কুিমর কমর',
মুফ্িত িরয়াজ বাউেলর মাথা েনেড় 'হাজেত আজ',
'একজন েহামেলস ফিকেরর েপেটর খুধার আগুেনর জ্বালায়:
েটক্সাস জ্বেল শতজন বািড়ঘরহারা',
'েমঘনার জেল কতজেনর লাশ গেল',
জাপােন সুনািমর ধ্বংসলীলা,িমসরাতায় মানুেষর িমজাির,
আেমিরকায় টর্েনেডার তান্ডবলীলা
~ এই বুিজ আজ জীবন আর মরেণর েখলা।
েমা• েসা• আিজজ , ২০১১।
েমাহাম্মদ েসাহরাব আিজজ
#
আমার বুেকর িভতর বসত কের বাংলােদশ,
সব মানুেষর নাম ধাম বেল িদেত লােগ এক িনেমশ।
'িবয়ািনবাজােরর ধনকুেবর টাকার কুিমর কমর',
মুফ্িত িরয়াজ বাউেলর মাথা েনেড় 'হাজেত আজ',
'একজন েহামেলস ফিকেরর েপেটর খুধার আগুেনর জ্বালায়:
েটক্সাস জ্বেল শতজন বািড়ঘরহারা',
'েমঘনার জেল কতজেনর লাশ গেল',
জাপােন সুনািমর ধ্বংসলীলা,িমসরাতায় মানুেষর িমজাির,
আেমিরকায় টর্েনেডার তান্ডবলীলা
~ এই বুিজ আজ জীবন আর মরেণর েখলা।
েমা• েসা• আিজজ , ২০১১।
Subscribe to:
Posts (Atom)